নয়াদিল্লি:  মাঝ আকাশে একী পাগলামি! তাও আবার পাইলটের। বিপন্ন হতে বসেছিল প্রায় ২০০ যাত্রীর প্রাণ? গত ২৮ এপ্রিল ‘চূড়ান্ত খামখেয়ালিপনা’ (এক্সট্রিম মুড সুইংস)-এর শিকার এয়ার ইন্ডিয়ার এক পাইলটের বিপজ্জনক কারসাজির ফলে দিল্লি থেকে প্যারিসগামী বিমানের প্রায় ২০০ যাত্রী বিপদে পড়তে পারতেন। ওই পাইলটকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিজিসিএ) এই ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্রের খবর, বোয়িং ৭৮৭-র ফ্লাইট কম্যান্ডার আচমকাই বিমানটিকে নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমার থেকে উঁচুতে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর এই কাজে বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।

জানা গেছে, ওই পাইলটের মানসিক সমস্যা রয়েছে। এক্সট্রিম মুড সুইংস ছাড়াও বিভিন্ন আচরণ সংক্রান্ত সমস্যার শিকার। এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটনায় তাঁর অবসাদের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল।

জানা গেছে, অনবোর্ড ফ্লাইট সফটওয়্যারের হেরফের ঘটিয়ে বিমানটিকে নির্ধারিত সীমার বেশি উচ্চতায় নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল।

এই অস্বাভাবিক উচ্চতায় বিমানটির চলে যাওয়ার বিষয়টি সহ পাইলটদের নজরে আসে। তাঁরা কম্যান্ডারকে বিমানটিকে স্বাভাবিক উচ্চতায় নিয়ে আসতে বাধ্য করেন বলে সূত্রের খবর।

এই ঘটনার তদন্ত চলছে। এয়ার ইন্ডিয়া বিষয়টি তাদের মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে পাঠিয়েছে। কেননা, এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত রয়েছে। অভিযুক্ত পাইলটের মানসিক পর্যালোচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে জার্মানউইঙ্গসের একটি বিমান আলপ্স পর্বতমালায় ভেঙে পড়ে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বিমানের একজন পাইলট আত্মহত্যা প্রবণতার শিকার ছিলেন বলে খবর।