পনীরসেলভম বিদ্রোহ ঘোষণার পর প্রথমে তাঁকে দলের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেন শশীকলা। এরপর আচমকা পনীরসেলভম শিবিরে যোগ দেন দলীয় চেয়ারম্যান ই মধুসুদনন। তাঁর দলীয় সদস্যপদ কেড়ে নিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না শশীকলা। নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে শশীকলাকে এআইএডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মধুসদনন। তাঁর দাবি, দলীয় আইন অনুসারে, একমাত্র কর্মীরাই সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করতে পারেন। অস্থায়ী সাধারণ সম্পাদক বলে কোনও পদ নেই। শশীকলা দল-বিরোধী কাজ করছেন।
পনীরসেলভমকেও দলের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, অস্থায়ী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শশীকলা তাঁকে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন না। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে চিঠি দিয়ে পনীরসেলভম বলেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া যেন কাউকে দলের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতে না দেওয়া হয়। ফলে চাপে পড়ে গিয়েছেন শশীকলা।
পনীরসেলভম শিবিরে থাকা এক বিধায়কের দাবি, শশীকলা দলীয় বিধায়কদের আটকে রেখেছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। শশীকলা শিবিরে থাকা বিধায়কদের অবশ্য দাবি, তাঁরা অবাঞ্চিত ফোন এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই মোবাইল বন্ধ রেখেছেন। তাঁদের আটকে রাখা হয়নি।
শশীকলা ও পনীরসেলভম দু জনেই সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তবে রাজভবন থেকে এখনও কোনও বার্তা আসেনি। ফলে শপথগ্রহণ কবে হবে, সেটা কেউই বলতে পারছেন না।