আগরা: দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও একটি অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় মারা গেলেন ক্যানসারে আক্রান্ত এক অধ্যাপক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (এএমইউ)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।


ঘটনায় প্রকাশ, ডি মূর্তি নামের ৬৪ বছরের ওই অধ্যাপক বেশি কিছুদিন ধরেই জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (জেএনএমসি) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সেখানে গত রবিবারই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এরপরই দ্রুত ওই অধ্যাপকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দিল্লি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ ঘণ্টায় একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে না পারায়, স্থানান্তকরণ করা সম্ভব হয়নি। এরপরই মারা যান ওই অধ্যাপক।

এই ঘটনায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জামিরউদ্দিন শাহ বলেছেন, গোটা ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে চিকিৎসক নন, হাসপাতাল কর্মীদের গাফিলতি রয়েছে।

উপাচার্য জানান, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, সেখানেই দেরি করেছেন কর্মীরা। তদন্ত কমিটি ৫ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।

জানা গিয়েছে, এএমইউ-তে আধুনিক ভারতীয় ভাষা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন মূর্তি। জেএনএমসি-র প্রন্সিপাল তারিক মনসুর জানান, মূর্তির ক্যান্সার অ্যাডভান্সড স্টেজে ছিল। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। ফলে, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া তাঁকে স্থানান্তর করা সম্ভব ছিল না।

প্রসঙ্গত, গতমাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে, হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়।