নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে অল ইন্ডিয়া রেডিও (আকাশবাণী)-র ট্যুইট ঘিরে তীব্র বিতর্ক। আরএসএস সম্পর্কে রাহুলের মন্তব্যর সমালোচনা করা হয় ওই ট্যুইটে। এই ঘটনায় কংগ্রেস তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, এই ঘটনা ‘ক্ষমার অযোগ্য এবং লজ্জাজনক’। একইসঙ্গে এই সরকারি বেতার সম্প্রচার সংস্থাকে গৈরিক অ্যাজেন্ডা প্রচারের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কিনা, তা কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বেঙ্গাইয়া নাইডুর কাছে জানতে চেয়েছে কংগ্রেস। বিতর্কের মুখে পড়ে অবশ্য আকাশবাণী তড়িঘড়ি ওই ট্যুইটটি ডিলিট করে দেয়।

আকাশবাণীর ওই ট্যুইটে বলা হয়, ‘আগে তিনি ভয় পেয়েছিলেন কেন। আরএসএসের বদনাম করতে তিনি এত সাহসী কীকরে হলেন। তাঁর নিজের মন্তব্য অনড় থাকা উচিত’।

এই ট্যুইট ট্যাগ করে একের পর এক ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেছেন, আরএসএসের অ্যাজেন্ডা প্রচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছে আকাশবাণী। তিনি বলেছেন, সরকারি সম্প্রচার সংস্থায় এ ধরনের ঘটনা এর আগে ঘটেনি। এই ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য এবং লজ্জাজনক।

বিতর্কিত ট্যুইট ডিলিট করে আকাশবাণী অন্য একটি ট্যুইটে জানায়, ডিজি নিউজ-এর নির্দেশক্রমে ওই ট্যুইট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। কেননা, তা আকাশবাণীর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে রাহুল বলেন, মহাত্মা গাঁধীর হত্যা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর বিরুদ্ধে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই। এর জন্য তিনি যে কোনও মামলার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের মারফৎ শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস সহ-সভাপতি বলেন, আমি আমার প্রতিটা কথাকে সমর্থন করছি। নিজের বক্তব্যের অবস্থান বজায় রাখছি। তা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি কালও বলেছি, আজও বলছি এবং ভবিষ্যতেও একই কথা বলব। প্রয়োজনে মামলার সম্মুখীন হতেও রাজি।

২০১৫ সালে একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল দাবি করেছিলেন, জাতির জনকের হত্যার নেপথ্যে আরএসএস-এর হাত ছিল। এর প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির একটি আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে সংঘ। সেখানে হাজিরা দেওয়ার জন্য রাহুলকে সমন পাঠানো হয়। সমনের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন রাহুল। তা খারিজ হওয়ায় সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সহ-সভাপতি।