নয়াদিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ায় বিলগ্নিকরণে কেন্দ্রের সিলমোহর দেওয়ার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল কংগ্রেস। দলের মতে, এয়ার ইন্ডিয়ার ভাল হোক, তা চায় না সরকার।


বুধবারই বিলগ্নিকরণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে, ৪৯ শতাংশ মালিকানা কিনতে পারবে যে কোনও বিদেশি এয়ারলাইন্স সংস্থা।


এর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা জানান, ঋণ-জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করার আরও অনেক উপায় ছিল। শর্মা বলেন, এটা (বিলগ্নিকরণ) নীতি-বিরুদ্ধ। জাতীয় বিমানসংস্থার কর্তৃত্ব বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ন্যায্য অংশীদারিত্ব হতে পারে।


প্রসঙ্গত, গত এক দশকে লাভের মুখ দেখেনি আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া। ২০১৬-১৭ সালে সংস্থার মোট ঋণের বোঝা ৪৮,৮৭৬ কোটি টাকা পৌঁছয়। পরের এক বছরে তাতে যোগ হয় আরও ৩,৫০০ কোটি টাকা।


এই পরিস্থিতিতে, গত বছরই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থায় কৌশলগত বিলগ্নিকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের অর্থনীতি-বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি ওই বিলগ্নীকরণের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল।


গত রবিবার সরকারকে এই ইস্যুতে তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পরামর্শ দেয় সংসদীয় কমিটি। তাদের মতে, যে সময় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে বিমান সংস্থা, সেই সময় তাতে বিলগ্নীকরণ করা ঠিক নয়।


কিন্তু, পরের দিনই, বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি (কাপা) ঠিক উল্টো প্রস্তাব রেখে সুপারিশ করে, যত দ্রুত সম্ভব বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া চালু করতে। না হলে, ইতিমধ্যেই আর্থিক দিক দিয়ে আরও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বে এয়ার ইন্ডিয়া। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও অনিহা তৈরি হবে।