হরিয়ানার ডিজিপি বি এস সান্ধু এই অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘তল্লাশি চলাকালীন ডেরার এক সদস্যর গাড়ি থেকে একটি একে ৪৭ এবং একটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য একটি গাড়ি থেকে দুটি রাইফেল এবং পাঁচটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।’
হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) রাম নিবাস বলেছেন, ‘রাজ্যের সব জায়গায় ডেরার ঘাঁটিতে তল্লাশি চালাচ্ছি আমরা। কুরুক্ষেত্র ও যমুনানগর থেকে লাঠি উদ্ধার হয়েছে। আমাদের সন্দেহ, সেখানে আরও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে।’
কুরুক্ষেত্রর পুলিশ সুপার অভিষেক গর্গ জানিয়েছেন, ‘আমরা এই জেলায় ডেরার ৯টি ঘাঁটি সিল করে দিয়েছি। সেখান থেকে সব ডেরা অনুগামীকে বার করে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘাঁটিগুলি থেকে আড়াই হাজারেরও বেশি লাঠি এবং ধারাল অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া আড়াই লিটার কেরোসিনও পাওয়া গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা ডেরার ঘাঁটিগুলির বাইরে টহল দিচ্ছেন।’
অন্যদিকে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহও বলেছেন, রাজ্য পুলিশ ডেরার ৯৮টি ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে লাঠি, রড, পাইপ, ধারাল অস্ত্র ও পেট্রোল বোমা পাওয়া গিয়েছে।
এরই মধ্যে সিরসায় ডেরার মূল ঘাঁটি থেকে একে একে অনুগামীরা চলে যাচ্ছেন। বিশেষ সিবিআই আদালত ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে থাকতেই সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা শুক্রবার দাবি করেছিলেন, আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। তবে শনিবার থেকেই ডেরার ঘাঁটি খালি হতে শুরু করেছে। প্রথমে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন ডেরা অনুগামীরা। পরে একসঙ্গে অনেকে মিলে বাইরে বেরোতে শুরু করেন। পুলিশ আশা করছে, দ্রুত ফাঁকা হয়ে যাবে ডেরার মূল ঘাঁটি। যদিও ভিতরে মোট কতজন আছেন, তার হিসেব নেই পুলিশের কাছে।