ভোপাল:  অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে আকাঙ্খা শর্মা। এনিয়ে প্রেমিকের সন্দেহের বশেই খুন বাঁকুড়ার তরুণী, দাবি ভোপাল পুলিশের।


ভোপাল পুলিশ জানিয়েছে, গত অগাস্টে  খুন হন আকাঙ্খা। প্রেমিকা অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এই সন্দেহেই আকাঙ্খার সঙ্গে বচসা বাধে প্রেমিক উদয়নের। বচসার জেরেই আকাঙ্খাকে গলা টিপে খুন করে সে।


পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় উদয়ন জানিয়েছে, একদিন বচসার মাঝে সে আকাঙ্খার গলা টিপে ধরে। আকাঙ্খা ছটফট করতে থাকে। কিন্তু, উদয়ন তার গলা ছাড়েনি। শেষ নিঃশ্বাস বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত আকাঙ্খার গলা টিপে ধরে ঝাঁকাতে থাকে সে। একসময় আকাঙ্খা নিথর হয়ে গেলে দেহ ছুড়ে মেঝেতে ফেলে দেয়।
কিন্তু, উদয়ন হঠাৎই বচসার মাঝে খুনের কথা বললেও, সে কি দীর্ঘদিন ধরেই এই ছক কষছিল? তার কারণ, সূত্রের খবর খুনের আগে থেকেই বাড়িতে ১৪ বস্তা সিমেন্ট, বালি, স্টোন চিপস এবং একটি লোহার ট্রাঙ্ক কিনে রেখেছিল উদয়ন।
অভিযোগ, আকাঙ্খার দেহটি ট্রাঙ্কে পুরে তার মধ্যে প্রথমে সে ৪-৫ বস্তা সিমেন্ট ঢেলে দেয়, যাতে গন্ধ না বেরোয়। তারপর মেঝের মধ্যে একটু গর্ত করে ট্রাঙ্কটিকে সেখানে রেখে তার ওপর কংক্রিটের ঢালাই করে দেয়। তার ওপর মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়েও দেয়। নিচে প্রেমিকা আকাঙ্খার দেহ! উপরে পুজো আচ্চা! এভাবেই না কি দিন কাটত উদয়নের।
পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘরে ঢুকেই তাদের মনে হয়, কিছু একটা গন্ডগোল আছে। এখানে ওখানে ছড়ানো ছিটোনো খাবার, অপরিষ্কার ঘরে আবর্জনা। সন্দেহ আরও বাড়ে বেডরুমের পাশের ঘরে এই মার্বেলের বেদি দেখে।
শেষমেশ সন্দেহই সত্যি হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, দীর্ঘ জেরার মুখে ভেঙে পড়ে উদয়ন জানায়, এই বেদির ভিতরেই সে পুঁতে রেখেছে আকাঙ্খার দেহ। প্রায় ৭-৮ ঘণ্টার চেষ্টায় বেদি ভেঙে সেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, দিল্লি আইআইটি-র ছাত্র উদয়ন তাদের জানিয়েছে, সে ক্রাইম থ্রিলার ও রহস্য রোমাঞ্চকর ধারাবাহিক দেখতে ভালবাসত। সেখান থেকেই তার মাথায় খুনের ভাবনা মাথায় আসে কিনা, খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।