লখনউ:  দুই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন অখিলেশ সিংহ যাদব। বেআইনি খনি উত্তোলনে মদত দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে খনিমন্ত্রী গায়ত্রী প্রজাপতির। অন্যদিকে জমি দখল ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী রাজকিশোর সিংহ। দুজনের ওপরই মুখ্যমন্ত্রী চটে ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সরিয়েই দিলেন তিনি।


 

অখিলেশের ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির সর্বোচ্চ নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব সম্প্রতি দলীয় নেতাদের দুর্নীতির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফিরতে হলে গায়ের জোরে জমি দখল ও অন্যান্য দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সামনের বছরেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সে কথা মাথায় রেখে দুর্নীতি-বিরোধী ভাবমূর্তি গড়ে তুলতেই অখিলেশের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

উত্তরপ্রদেশে বেআইনি উত্তোলনের অভিযোগ উঠছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়ে গত ২৮ জুলাই সিবিআইকে রাজ্যজুড়ে তদন্ত করে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বেআইনি উত্তোলনে সরকারি অফিসারদের মদত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। অখিলেশের সরকারের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি ৯ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।

 

তবে দুই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেও বিরোধীদের সমালোচনা থেকে  রেহাই মিলছে না অখিলেশের। কংগ্রেস নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশীর অভিযোগ, রাজ্যে বেআইনি উত্তোলন চলছে রমরমিয়ে। এটা সকলেরই জানা, উনি এতে মদত দিচ্ছেন। এখন হাইকোর্ট বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সিবিআই  তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় চাপে পড়ে উনি দুজনকে সরিয়ে লোকদেখানো ব্যবস্থা নিলেন। এতে কোনও লাভ হবে না কারণ সত্যিটা সবাই জানেন। রাজ্য বিজেপির  সাধারণ সম্পাদক বিজয় বাহাদুর পাঠক বলেছেন, তাও ভাল যে, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন। আমাদের দল অনেকদিন ধরেই বেআইনি উত্তোলনের অভিযোগ করে আসছে। আরও আগে এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে প্রজাপতিকে জলসেচ রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে তাঁকে সরানো হয় প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের মতো শাঁসালো দপ্তরে, যার মাথায় ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৪-র জানুয়ারিতে তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়।