লখনউ: সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদবের মধ্যস্থতাতেই শেষপর্যন্ত অখিলেশ যাদব ও শিবপাল যাদবের বিবাদ আপাতত মিটে গেল। তাঁর ধমক খেয়ে অখিলেশের সমর্থকরা প্রতিবাদের পথ থেকে সরতে বাধ্য হলেন। গত কয়েকদিন ধরে অনমনীয় মনোভাব দেখানো অখিলেশ এদিন নরম হলেন। তিনি উত্তরপ্রদেশে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হওয়া শিবপালের সঙ্গে সহযোগিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।


শনিবার শিবপালের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন অখিলেশ। ফলে সপা শিবিরের অশান্তি মিটে যেতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুক্রবারই মুলায়মের হস্তক্ষেপের পর অখিলেশ ও শিবপাল পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শনিবার দলীয় দফতরে গিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য দুই শিবিরের সমর্থকদেরই বকাঝকা করেন মুলায়ম। তিনি বলেন, ‘দলে এই ধরনের আচরণ আমি মেনে নেব না। দলকে এই জায়গায় নিয়ে আসার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। এই তামাশা মেনে নেব না।’

গত কয়েকদিন ধরে চলা অশান্তির জন্য দলীয় নেতাদেরও ছেড়ে কথা বলেননি সপা সুপ্রিমো। তিন সাফ জানিয়ে দেন, অখিলেশকে সরিয়ে উত্তরপ্রদেশে দলীয় প্রধানের পদে শিবপালকে বসিয়ে কোনও ভুল করেননি। সবাইকে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এদিন সকালেও অবশ্য অখিলেশের সমর্থকরা দলীয় দফতরে গিয়ে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে দলীয় প্রধানের পদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাতে থাকেন। মুলায়ম সেখানে পৌঁছতেই তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের থামিয়ে দেন মুলায়ম। তাঁর এই মনোভাব দেখেই রণে ভঙ্গ দেন অখিলেশ। তিনি সমর্থকদের বিরত করেন।

এদিকে, সপা শিবিরের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিরোধী দলগুলির হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। বিজেপি-র দাবি, অখিলেশ নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তাই সমাজবাদী পার্টির এই নাটকের জন্য তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। কংগ্রেস বলেছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর না দিয়ে পরিবারকে গুরুত্ব দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।