লখনউ: বীর সাভারকরকে ‘ব্রিটিশদের দালাল’ বলায় ম্যাগসেসে পুরস্কার জয়ী সমাজকর্মী সন্দীপ পাণ্ডেকে আটক করল যোগী রাজ্যের পুলিশ। রবিবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরোধিতায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন সমাজকর্মী সন্দীপ পাণ্ডে। সেখানে সাভারকর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, তাঁকে ‘ব্রিটিশের দালাল’ বলে আক্রামণ করেন তিনি। এরপরই আলিগড় থানায় সন্দীপ পাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি রাজীব কুমার আশিষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ম্যাগসেসে জয়ীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ‘এ’ (সংঘর্ষে উস্কানি) এবং ৫০৫ (১)-এর ‘বি’ (জনগণেপ মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়া) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্রের খবর, শুধু সাভরকর নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যই নয় সন্দীপ পাণ্ডের ‘অগ্নিবাণের’ সম্মুখীন হতে হয়েছে সর্ব ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপানি মহারাজকেও।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গিয়ে সন্দীপ পাণ্ডে বলেন, জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার জন্য পুলিশ দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও পড়ুয়াদের ওপর আক্রমণে ছাত্রছাত্রীদের কোনও ভূমিকাই ছিল না। আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার নেপথ্যে রয়েছে আরএসএস ও বিজেপি। নিজের বক্তব্যে সমাজকর্মী সন্দীপ পাণ্ডে বলেন, সাভারকর ব্রিটিশদের থেকে পেনশন নিতেন। শুধু তাই নয়, কারামুক্তির জন্য ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমাভিক্ষাও করেছেন সাভারকর। এরপরই বিজেপি-কে একহাত নিয়ে সন্দীপ পাণ্ডেকে বলতে শোনা যায়, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও ভূমিকা নেয়নি, তাদের সংসদ থেকে ছুড়ে ফেলা হোক।
সন্দীপ পাণ্ডের এই বক্তব্যের পরই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন হিন্দু মহাসভার নেতা রাজীব কুমার আশিষ। এমনকি তাঁর অভিযোগের কপি তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছেন।