ভূবনেশ্বর: রোজভ্যালিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। দীর্ঘ জেরার পর কলকাতা থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভুবনেশ্বরে।
তবে সিবিআই সূত্রে খবর, এই ধকলের পরও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে না কি টেনশনের লেশমাত্র দেখা যাচ্ছে না। উল্টে তিনি জেরার ফাঁকে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে রীতিমতো খোশমেজাজে গল্প করছেন। এমনকী সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বর আদালতে বসে সুদীপ নিজের আইনজীবী ও এক পরিচিতকে বলেন, আমি তো দিব্যি আছি। কফি খাচ্ছি, খবরের কাগজ পড়ছি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার সুদীপকে রাতের খাবার দেওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সেই। রুটি ও তরকারি। রাত একটা নাগাদ সুদীপকে নিয়ে ভুবনেশ্বরের দফতরে পৌঁছোন সিবিআই অফিসাররা।
একটি ছোট ঘরে সুদীপের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। তাঁকে শুতে দেওয়া হয় খাটে। মশা তাড়ানোর জন্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কয়েল।
সারা রাত ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন দু’জন অফিসার।
সিবিআই সূত্রে খবর, সারা রাত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় জেগেই কাটান। ভোরের দিকে একটু ঘুমিয়ে আবার সাড়ে ছ’টা নাগাদ উঠে পড়েন। তাঁকে কফি ও খবরের কাগজ দেওয়া হয়।
সকাল আটটা নাগাদ প্রাতরাশে দেওয়া হয় দুধ ও কর্নফ্লেক্স। অর্ধেক খেয়ে বাকিটা আর খেতে চাননি সুদীপ। সকাল দশটা নাগাদ সিবিআইয়ের দু’জন অফিসার আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে।
আধঘণ্টা জেরা করে তাঁরা ফিরে যান। দুপুর একটা নাগাদ ফের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাবার দেওয়া হয়। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে।