বেঙ্গালুরু: কংগ্রেস, জেডি (এস)-এ ভাঙনের সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন সিদ্দারামাইয়া। আগামীকাল রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি মু্খ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে সু্পিম কোর্টের শক্তিপরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁদের জোটের সব বিধায়ক এককাট্টা।


সুপ্রিম কোর্টের আজকের নির্দেশকে 'ঐতিহাসিক' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির মাত্র ১০৪ জন বিধায়ক। প্রয়োজনীয় ১১২ জন ওদের নেই। ১০৪-এর বেশি একটি আসনও ওদের নেই। দুজন নির্দল আমাদের সমর্থনেই নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেসের ৭৮, জেডি-এস (৩৭), ২ নির্দল (নির্দল+কেজিজেপি) ও বিএসপি-র ১ জন মিলিয়ে মোট ১১৮ জন। কুমারস্বামী যেহেতু দুটি কেন্দ্রে জিতেছেন, তাই সংখ্যাটা ১১৭। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া আছে। এটাই বাস্তব। বিজেপি চায়নি। এসব সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ওদের ১৫ দিন সময় দিলেন রাজ্যপাল। এতে কী বোঝা যাচ্ছে?
তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের নির্দেশে কাজ করেছেন, সংবিধান মানলে এমন সিদ্ধান্ত নিতেন না। মোদী, শাহকে তিনি 'এ দেশে হিটলারের ফসিল' বলেও কটাক্ষ করেন। বলেন, সংবিধান বা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা নেই ওদের।
অতীতে কখনও কোনও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ১৫ দিন সময় দেননি বলে জানিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, এ গণতন্ত্রের হত্যা, পরিষ্কার সংবিধান লঙ্ঘন।
জোটসঙ্গী জেডি (এস) নেতা দানিশ আলিও ইয়েদুরাপ্পা কালই আস্থাভোটে হেরে যাবেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় ঐতিহাসিক। তাকে স্বাগত জানাই। যারা বলছিল, জেডি (এস), কংগ্রেসের মাঝরাতে সু্প্রিম কোর্টে যাওয়ার কী প্রয়োজন ছিল, আজ এটা উন্মোচিত হয়ে গেল যে, তারা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি এও বলেন, বিধায়কদের নিরাপত্তার উদ্বেগও মাথায় রাখতে হবে। প্রথম দিন থেকেই আমরা নিশ্চিত, বিজেপির প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা নেই। আমাদের আছে। কাল ৪টায় ইয়েদুরাপ্পা আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা হারাচ্ছেন।