বিড়লা বলেছেন, শুধু সাংসদরাই নন, তাঁদের স্টাফদেরও করোনা টেস্ট করাতে হবে। অধ্যক্ষ বলেছেন, যে সাংসদরা তাঁদের করোনা পরীক্ষা বাইরে করাতে পারবেন না তাঁদের জন্য সংসদ ভবনেই পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ অধিবেশনে যোগ দিতে আগ্রহী সাংসদদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করার আর্জি জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, সংসদের সমস্ত কর্মীদেরও করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে। অধিবেশনের খবর করতে যে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের কর্মী আসবেন, তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করতে হবে। সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষার সময় কাউকে যাতে স্পর্শ না করতে হয়, সেই ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরীক্ষার কাজে নিযুক্ত কর্মীদের দেওয়া হবে করোনা কিট। ওই কিট পরেই তাঁরা নিরাপত্তা পরীক্ষার কাজ করবেন। একইসঙ্গে হবে থার্মাল স্ক্রিনিংও। নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনও বসানো হতে পারে।
সংসদের অধিবেশেন প্রস্তুতি নিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে লোকসভা ও রাজ্যসভার আধিকারিকরা ছাড়াও এইমসের ডিরেক্টর ড. রণদীপ গুলেরিয়া, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, আইসিএমআর-এর মহানির্দেশক ড. বলরাম ভার্গব, ডিআরডিও-র প্রতিনিধি ও দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখে সংসদের অধিবেশন চালানোর প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়।