মুজফফরনগর: দেওবন্দ ও পার্শ্ববর্তী দুই জেলা মুজফফরনগর ও সাহারানপুরের যাবতীয় পাসপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাদের সন্দেহ, এই তিন জেলার বহু পাসপোর্ট ধারকের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগ রয়েছে।


দেওবন্দের ঠিকানা দেখিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বার করা ২ বাংলাদেশি জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পর এই নির্দেশ জারি করেছে পুলিশ। তারা মনে করছে, বহু পাক ও বাংলাদেশি জঙ্গি দেওবন্দে ঘাপটি মেরে রয়েছে। এই দেওবন্দেই রয়েছে ইসলামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ।

দুই বাংলাদেশি জঙ্গি গ্রেফতারের পর আজ সবকটি জেলা প্রশাসনকে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, বেআইনিভাবে বসবাস করা সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। যাঁরা এই বাংলাদেশিদের জাল পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করেছেন, সেইসব সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, স্থানীয় জনাকয়েক পুলিশকর্মী ওই জঙ্গিদের সাহায্য করেন ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে। তাই এভাবে যাবতীয় পাসপোর্ট খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

তবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু দেওবন্দ বা নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়কে টার্গেট করে এ কাজ হবে না। জাতধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত পাসপোর্টধারীর পাসপোর্টই খতিয়ে দেখা হবে।

সাহারানপুরের ডিআইজি জানিয়েছেন, বেশ কিছু লোককে তাঁর শহরে বহুবার দেখা গিয়েছে, যাদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ধৃত ২ বাংলাদেশি জঙ্গিও পাসপোর্ট বানায় সাহারানপুর থেকে। তাই এভাবে যাবতীয় পাসপোর্ট যাচিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত।

এ বছর অগাস্টে মুজফফরনগর থেকে গ্রেফতার হয় বাংলাদেশি নাগরিক আবদুল্লা আল মামন। সে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য, বহু বছর ধরে দেওবন্দে ছিল। এ মাসে আবার উত্তরপ্রদেশ এটিএস সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করে আর এক বাংলাদেশি জঙ্গিকে, তার কাছ থেকে আইসিসের বইপত্র উদ্ধার হয়েছে।

এই দুজনের গ্রেফতারের পর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে ২০ জনের মত সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক স্রেফ উবে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার জেরেই এই পাসপোর্ট খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।