নয়াদিল্লি: স্পর্শ দুর্ঘটনাপ্রসূত বা অনাকাঙ্খিত হতেই পারে। কিন্তু তার মধ্যে যদি যৌনতা না থাকে তবে সেই স্পর্শ কোনও মতেই যৌন নিগ্রহ নয়। বলল দিল্লি হাইকোর্ট।


সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে এই মামলায় ক্লিনচিট দিয়েছে আদালত। ওই বিজ্ঞানীর এক প্রাক্তন সহকর্মী অভিযোগ করেন, তিনি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। ২০০৫-এর এপ্রিলের একটি ঘটনার উল্লেখ করে ওই মহিলা বলেন, তিনি যখন ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন তখন সেখানে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। তাঁর হাত ধরে স্যাম্পল কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেন। তারপর ল্যাব থেকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দেন। অভিযোগকারিণী বিজ্ঞানীর বক্তব্য, ওই স্পর্শ তাঁর কাছে অনাকাঙ্খিত ছিল সুতরাং তা যৌন নিগ্রহ বলেই ধরতে হবে।

কিন্তু সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি এই বিষয়টিকে তাঁদের ব্যক্তিগত ঝামেলার ফল বলে ছেড়ে দেয়। যদিও যেভাবে রাগের মাথায় অভিযুক্ত বিজ্ঞানী অভিযোগকারিণীর হাত ধরে স্যাম্পল ছুঁড়ে ফেলেছেন তার নিন্দা করে তারা। এরপরই এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই বিজ্ঞানী।

কিন্তু আদালতও ক্লিনচিট দিয়েছে অভিযুক্তকে। বিচারপতি বিভূ বাখরু বলেছেন, যৌন নিগ্রহ বলতে ঠিক কী বোঝায় তার সংজ্ঞা তৈরি করা উচিত। কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক স্পর্শ অবশ্যই যৌন নিগ্রহ। কিন্তু তা তখনই, যখন তার চরিত্র যৌনগন্ধী। এক কথায়, আচমকা কোনও কারণে কেউ কাউকে স্পর্শ করলে বা করতে বাধ্য হলে তা যৌন নিগ্রহ বলা যাবে না, যতই তা অন্য পক্ষের কাছে অস্বস্তিকর হোক। একইভাবে যে স্পর্শে যৌনতা নেই ও অপরপক্ষের লিঙ্গ সম্পর্কিত কোনও কারণ যুক্ত নেই, তাও যৌন নিগ্রহ নয়। জানিয়ে দিয়েছে আদালত।