নয়াদিল্লি: জ্বলন্ত দেহ নিয়ে দৌড়েছিলেন ১ কিলোমিটার, পুলিশের সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ করেন। বাঁচার এই তীব্র আকুতিও বাঁচাতে পারল না ২৩ বছরের মেয়েটিকে। গতকাল রাতে দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যা যা ঘটেছিল জানলে শিউরে উঠতে হয়।


প্রেমে পড়ে প্রতারিত হন উন্নাওয়ের তরুণী। যে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গত বছর ডিসেম্বরে তিনি গণধর্ষিত হন, পুলিশে দায়ের করা অভিযোগ মোতাবেক, তাঁর গ্রামেরই শিবম ত্রিবেদী নামে এক যুবক তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে। সঙ্গে যোগ দেয় তার বন্ধু শুভম। দুজনে মিলে ঘটনার ভিডিও তুলে তা ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এই সুযোগে একাধিকবার ধর্ষণ করে তাঁকে।

শেষমেষ সাহস সঞ্চয় করে পুলিশের দ্বারস্থ হন মেয়েটি। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ, প্রতিদিন থানায় যেতেন, তাতেও ফল মেলেনি। শেষে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে অভিযোগ করেন। মার্চ মাসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। শুরু হয় মামলা প্রত্যাহারের জন্য পরিবারের ওপর চাপ আর হুমকি দেওয়া। বারবার তিনি পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন করেছেন, কোনও ফল হয়নি। শেষমেষ ৫ তারিখ সকালে নিজেরই ধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য যখন তিনি রায় বরেলি আদালতে যাচ্ছিলেন তখন ২ অভিযুক্ত সহ ৫ জন তাঁকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেয়।

মৃত্যুর আগে ভাইয়ের কাছে তাঁর শেষ অনুরোধ ছিল, অপরাধীদের যেন না ছাড়া হয়। ৫ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর পরিবার তাদের ফাঁসির দাবি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।