নয়াদিল্লি: অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে বিপাকে সেনাবাহিনীর এক পুরুষ ও এক মহিলা অফিসার।
খবরে প্রকাশ, মেজর পদমর্যাদার ওই দুই অফিসারের মধ্যে ‘অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই পুরুষ অফিসারের স্ত্রী। এই ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধেই তদন্ত ও শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেনা।
জানা গিয়েছে, প্যারা ফোর্সেস-এর কমান্ডো ওই পুরুষ অফিসার ও মহিলা অফিসার- দুজনই জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন ছিলেন। সেই সময় তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নর্দার্ন কমান্ডের নির্দেশানুসারে, অভিযোগ ওঠার পরে দুজনকেই একই ইউনিটে রাখা হয়েছে, যাতে একইসঙ্গে দুজনের বিরুদ্ধে যথাযথ শৃঙ্খলা রক্ষা-সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ওই পুরুষ অফিসারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে। সূত্রের খবর, মেজরের স্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেন সেনাপ্রধান ও তাঁর স্ত্রীর কাছে। প্রসঙ্গত, সেনাপ্রধানের স্ত্রী সেনা অফিসার ও কর্মীদের স্ত্রী-দের সংগঠনের প্রধান। তিনি মূলত, সামরিক কর্মীদের পারিবারিক ইস্যুগুলি দেখেন।
জানা গিয়েছে, অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে স্বামীর সঙ্গে ওই মহিলা অফিসারের ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও সেনাপ্রধানের কাছে পাঠিয়ে দেন পুরুষ অফিসারের স্ত্রী। এরপরই তদন্তে নামে সেনা। নর্দার্ন সেনা কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, মেজর পদমর্যাদার ওই দুই ইফিসারই দোষী। কারণ, তাঁরা সেনার নিয়ম ও নীতির পরিপন্থী কাজ করেছেন। দুজনের বিরুদ্ধেই কোর্ট অফ এনক্যোয়ারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে হিজবুল কমান্ডার জঙ্গি বুরহান ওয়ানির হত্যার পর যখন উপত্যকা অস্থির হয়ে ওঠে, তখন ওই প্যারা কমান্ডো এবং মহিলা অফিসারকে সেখানে পাঠানো হয়। মহিলা অফিসারের ব্রিগেডকে সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে, স্বল্প সময়ের জন্য মোতায়েন হন ওই প্যারা কমান্ডো অফিসার। দুজনের মধ্যে আলাপ সেই থেকেই। আলাপ থেকে বেড়ে যায় ঘনিষ্ঠতা।
যদিও, অভিযুক্ত ২ জনই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করেছে। পুরুষ অফিসারের দাবি, তাঁর স্ত্রী সব ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন। নর্দার্ন কমান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অফিসারের স্ত্রী নিজের অভিযোগের সঙ্গে ৬টি ছবি ও একটি সিডি প্রমাণ হিসেবে পাঠান।
অভিযোগে তিনি জানান, এই অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি তিনি জানতে পারেনৃ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই সময় তাঁর মেয়ের মাত্র সাতমাস বয়স ছিল। মহিলার দাবি, তাঁর স্বামী তাঁকে কোনও সহায়তা ছাড়াই মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন।