ভোপাল: ১৬ বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল পাশের বাড়ির ১৭ বছরের কিশোর। গর্ভাবস্থার কথা বাবা মা জানতে পারলে জানাজানির ভয়ে দ্রুত মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেন। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। নিজের সন্তানকে নিজেই মাটিতে পুঁতে দিয়ে অসহায় মেয়েটি বাঁচতে চাইল লোকলজ্জার হাত থেকে।

মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহখানেক আগে জন্মায় আদিবাসী ওই কিশোরীর পুত্রসন্তান। মেয়ের বিয়ে বাঁচাতে মরিয়া বাবা মা তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। অভিযোগ, তারপর সন্তান হলে তাকে মাটিতে পুঁতে দেন তাঁরা।

কিন্তু বাচ্চাটি বেঁচে গিয়েছে। মাটির ১০ ইঞ্চি নীচে ১০ ঘণ্টার মত পোঁতা ছিল সে কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে তুমুল প্রাণশক্তি। পাড়ার ছেলেমেয়েরা খেলতে খেলতে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পায়। তাদের ডাকে ছুটে আসে বড়রা। তারাই মাটি খুঁড়ে বার করে অনাহত ওই শিশুকে। তার পুরো মুখ ছিল মাটিতে ঢাকা, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পোকায় মুখের নানা জায়গা কামড়ে দেওয়ায় রক্তও বার হচ্ছিল।

তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্ভবত বেঁচে যাবে সে। তার মায়ের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। আর তাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।