নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি দিতে সিবিএসই-কে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। সিবিএসই বলেছিল, ওগুলি ব্যক্তিগত নথি, তাই প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু কমিশন খারিজ করে দিয়েছে এই যুক্তি।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বয়নমন্ত্রক ও স্মৃতি দিল্লির যে হোলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, তাদেরও কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, সিবিএসই আজমেরকে স্মৃতির রোল বা রেফারেন্স নম্বর দিতে হবে। ১৯৯১ ও ১৯৯৩ এর যাবতীয় নথিপত্র সিবিএসই, আজমেরের কাছে আছে। ওই বিপুল নথিপত্র এখনও ডিজিট্যাল ফর্মাটে পরিণত হয়নি। তাই অজস্র নথিপত্রের পাহাড় থেকে স্মৃতির নথিগুলি খুঁজে বের করতে যাতে সুবিধা হয়, সেজন্যই তাঁর রোল বা রেফারেন্স নম্বর দিতে বলেছে কমিশন।

তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচারুলু এক নির্দেশে বলেছেন, কমিশন সিবিএসই-কে আবেদনকারীর বাছাই করা সংশ্লিষ্ট রেকর্ড খতিয়ে দেখার সুযোগ দিতে বলেছে। বিনা মূল্যে সেইসব নথির সার্টিফায়েড কপির ব্যবস্থা করে দিতে বলেছে। এই নির্দেশ হাতে পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তা দিতে হবে। একমাত্র অ্যাডমিট কার্ড ও মার্কশিটে উল্লেখ থাকা একেবারে ব্যক্তিগত তথ্যগুলি বাদে বাকি সব নথি দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১৯৭৮ সালের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পরীক্ষায় পাশ  করার যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশ বেরিয়েছে সম্প্রতি।

সিবিএসই-র যুক্তি নাকচ করে আচারুলু বলেছেন, এটা বলা ঠিক নয় যে, কোনও পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করে ডিগ্রির সার্টিফিকেট পেলে তাঁর পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত নথিগুলি তাঁর নিজস্ব, ব্যক্তিগত তথ্য হয়ে যায়। কোনও পরীক্ষার্থীর ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করা মানে তাঁর তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা  নয়। তিনি এও জানান, কোনও জনপ্রতিনিধি নিজের শিক্ষাযোগ্য যোগ্যতা প্রকাশ  করলে ভোটারদের তা খতিয়ে দেখার পূর্ণ অধিকার থাকে।