নাভাল কিশোর শর্মা, যিনি গো-রক্ষক বাহিনীর অন্যতম সদস্য জানান, পুলিশের গাড়িতে রকবারকে তিনি শেষবার বসে থাকতে দেখেন। এমনকি রাকবারের পোশাকও বদলে দেয় পুলিশই। পরে পুলিশি হেফাজতেই মৃত্যু হয় রকবারের, দাবি নাভালের।
প্রসঙ্গত, নাভাল কিশোরই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। তারপর সেখান থেকে রাকবার খানকে নিয়ে তিন ঘণ্টার যাত্রাপথেও নাভাল ছিলেন পুলিশের সঙ্গে। পরে রাকবারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানকার এক চায়ের দোকানের মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁর দোকানের সামনে পুলিশের একটি গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছিল ঠিকই, কিন্তু গাড়ির মধ্যে কে ছিল, সেব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে সেখান থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হয় রকবারকে। তবে যতক্ষণে হাসাপাতালে পৌঁছন রাকবার, ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে রাজস্থান পুলিশও এক উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্তে নেমেছে। তাঁরা খতিয়ে দেখছে আলওয়ার পুলিশ কেন রাকবারকে দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে শুক্রবার এবং শনিবার রাতে কোনওভাবে কী পুলিশি অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন রাকবার?