শ্রীনগর:  সোমবার রাতে অমরনাথ যাত্রীদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনাটি আরও ভয়াবহ হতে পারত, যদি না ওই অবস্থায় বাস চালিয়ে যেতেন বাস চালক। কার্যত, তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিতেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বাসে থাকা আরও ৫০ পুণ্যার্থী।


সূত্রের দাবি, তিন দিকে থেকে ঘিরে ফেলে বাসটির ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় বাস না থামিয়ে, কম দৃশ্যমান্যতার মধ্যে কোনওক্রমে বাসটি চালিয়ে নিয়ে যান চালক সেলিম গফুর। যদিও এই সাহসিকতা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি,  প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ মহিলা সহ এক ব্যক্তি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেলিমের ভাই জাভেদ বলেন, বাসটি লক্ষ্য করে জঙ্গিরা যখন এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে, তখন তাঁর ভাই বলেন, যেকোনও অবস্থাতেই বাস না থামিয়ে চালিয়ে যাবেন তিনি। সেই সময় চারিদিকে স্পষ্ট করে কিছু দেখাও যাচ্ছিল না। তবে নিরাপদ স্থানে এসে তবেই বাস থামান সেলিম। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে হামলার ঘটনার কথা জানান সেলিম।

জাভেদের দাবি সমর্থন করেছেন, বাসে থাকা অপর এক পুণ্যার্থীও। তাঁরও দাবি, চালকের সাহসিকতা এবং উপস্থিত বুদ্ধির জন্যেই বাসের অন্য যাত্রীরা প্রাণে বেঁচেছেন।

নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যেভাবে সেলিম যাত্রীদের বাঁচিয়েছেন, তার স্বীকৃতি দিচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। তারা ও শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড তাঁকে মোট ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিচ্ছে। রাজ্য সরকার তাঁকে সাহসিকতার বিরল নজির গড়ায় ৩ লক্ষ টাকা দেবে, বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে নিজের ক্ষমতাবলে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল এন এন ভোরা।