শ্রীনগর:  বালতাল এবং পহেলগাঁওয়ে ধস ও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে যখন  সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে অমরনাথ যাত্রা, তখন এই ধসের মধ্যে পড়েই মৃত্যু হল আরও তিন তীর্থযাত্রীর। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, দিল্লির বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সি শৈলেন্দ্র বালতালে ধসের মধ্যে পড়ে যান। তার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে আরও দুই তীর্থযাত্রী জ্যোতি শর্মা (৩৫) এবং অশোক মাহাতো (৫১)-র দেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধসে আরও পাঁচজনের জখম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে দুই তীর্থযাত্রী এবং তিন পনিওয়ালা। বালতালের রাস্তায় ব্রারিমার্গ এবং রেলপত্রির মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে জখম হন তাঁরা।


২৮ জুন অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ অগাস্ট এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা। সেদিনই আবার রয়েছে রাখী।

এদিকে বালতালের রাস্তায় ধসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টির জেরে রাস্তা পরিস্কারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।  বৃষ্টির জেরে পহেলগাঁওয়ের রাস্তা পিছল হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সংঙ্কটজনক দেখে আপাতত অমরনাথ যাত্রা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জম্মু কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলায় ধস নেমে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন তিন জন। এখনও পর্যন্ত ওই পাঁচ মৃত এবং তিনজন আহতের পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে ধস ও বৃষ্টির মাঝেই বালতাল বেস ক্যাম্পে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ছোট একটি হড়কা বান এসে সব ভাসিয়ে দিয়েছে। যদিও তাতে কারও হতাহত বা জখম হওয়ার খবর নেই।