নয়াদিল্লি: আজ ৬৯ তম ‘মন কি বাত’-এ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজকের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি দেশের কাহিনীর ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, গল্পে আবেগ জড়িয়ে আছে। শিশুদের গল্প শোনানো বিশেষ প্রয়োজন। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গর্বিত সেই দেশের মানুষ হয়ে যে দেশ হিতোপদেশ ও পঞ্চতন্ত্রের মতো কাহিনীর লালন করে। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই করোনা সঙ্কট একটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে। করোনাভাইরাসজনিত কঠিন সংকটে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখে গল্প শুনে পরিবারের লোকজন সময় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বেঙ্গালুরুর কাহিনী-কথকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাঁরা একটি গল্পও শোনান। দৈনন্দিন জীবনে গল্প বলা এবং পরিবারের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনারও আর্জি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি সংসদে অনুমোদিত হয়েছে কৃষি বিল। এই বিলের প্রতিবাদে কৃষকরা পথে নেমেছেন। এরইমধ্যে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মোদির বক্তব্যে উঠে এল কৃষকদের প্রসঙ্গও। আত্মনির্ভর দেশ গড়ার প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের জন্য কৃষকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় কৃষকদের প্রচুর সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু তাঁরা হাল ছাড়েননি। শাকসব্জি, শশা, ভুট্টোর মতো ফসল ফলিয়ে তাঁদের এখন প্রতিবছর বেশ ভালো আয় হচ্ছে। যেখানে ভালো দাম পাবেন, সেখানে বিক্রয়ের ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্রামীন যুবকরা বাজারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। চাষবাস ও বিক্রয়ের প্রক্রিয়া সরাসরি কৃষকদের লাভবান করবে এবং গ্রামের যুবকদের কর্মসংস্থান ঘটবে। নাম না করে কৃষি বিলের পক্ষে জোর সওয়াল মোদির। বলেছেন, ফসল বিক্রিতে স্বাধীনতা পেয়েছেন কৃষকরা, দেশ হবে আত্মনির্ভর। কৃষকরা মধ্যসত্ত্বভোগীদের কবল থেকে মুক্তি পাবেন এবং নিজেদের মনোমতো দামে ফসল বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন। কৃষিতে ব্যবসাসংক্রান্ত দিকে থেকে উপযুক্ত প্রযুক্তির প্রয়োজন। দেশের দরিদ্রতমদের কল্যাণই সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, চার বছর আগে এমন সময়েই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেম সময় বিশ্ব দেখেছিল আমাদের জওয়ানদের সাহস ও বীরত্ব। আমাদের বীর জওয়ানদের একটাই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-তা হল যে কোনও মূল্যে ভারত মাতার গৌরব ও মর্যাদা সুনিশ্চিত রাখা।
করোনা সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা পালনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামাজিক দূরত্ব, মাস্কের ব্যবহার , ভিড় এড়িয়ে চলা ও হাতের সুস্বাস্থ্য বিধি পালনের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।