নয়াদিল্লি: ‘পদ্মাবতী’-বিতর্কের জেরে বিগত কয়েকমাস ধরে নতুন করে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্র নিয়ে।


অথচ, অনেকেই জানেন না, দিল্লির সালতানাতের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসকের সমাধি কুতুব মিনার চত্বরেই রয়েছে। কারণ, তাঁরই পূর্বসূরিদের তৈরি করা কুতুব মিনারের উচ্চতা ও জনপ্রিয়তার কাছে খিলজির সমাধি অত্যন্ত ম্লান হয়ে গিয়েছে।


গত কয়েকমাস ধরে সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত পদ্মাবতী ছবি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে যখন তোলপাড় আসমুদ্র-হিমাচল, তখন ইতিহাসবিদ ও লেখক আর ভি স্মিথ এক অন্য তথ্য তুলে ধরলেন।


প্রচলিত তত্ত্ব রয়েছে যে, আলাউদ্দিন খিলজি ‘কুটিল’, ‘দুঃশ্চরিত্র’ সুলতান ছিলেন। কিন্তু, তা সর্বৈব ভুল বলে দাবি করে স্মিথ জানান, খিলজি কখনই তেমন ছিলেন না। উল্টে, ইতিহাসবিদের মতে, তিনি মোঙ্গলদের হানা থেকে হিন্দুস্তানকে বাঁচিয়েছিলেন।


স্মিথ বলেন, খিলজি না থাকলে আজ হয়ত হিন্দুস্তানের চেহারা ভৌগলিক এবং বর্ণের দিক দিয়ে অন্যরকম হত। স্মিথের দাবি, খিলজি কখনই রানী পদ্মিনীর জন্য চিতোর আক্রমণ করেননি। তিনি আর পাঁচজন সম্রাটের মতোই নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চেয়েছিলেন।


এই ইতিহাসবিদের মতে, যুদ্ধে রাজপুত রাজা রতন সিংহকে হারানোর পর খিলজি যখন রানী পদ্মিনী ও তাঁর রূপের কথা শোনেন, তিনি তাঁকে একবার দেখতে চেয়েছিলেন।


এহেন দিল্লির প্রবলপ্রতাপ সুলতানকে নিয়ে এখন বিভক্ত দেশ। সেখানে কুতুব মিনার চত্বরের এক কোনে একটি মাদ্রাসার মধ্যে অত্যন্ত মলীনভাবে পড়ে রয়েছে খিলজির সমাধি।


এমনকী, সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরাও জানেন না। এক নিরাপত্তারক্ষীকে তাই পাল্টা প্রশ্ন করতে শোনা যায়, এই কি সেই খিলজি, পদ্মাবতী ছবিতে যার সম্বন্ধে বলা হয়েছে?