গাঁধীনগর: কী করে ভোট করতে হয়, বা নির্বাচনের কলাকৌশল সম্ভবত অমিত শাহের থেকে কেউ ভাল বোঝেন না। গুজরাতের নির্বাচনে জোরকদমে প্রচার চালিয়ে গেলেও, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর ভোট নিয়ে।
যে কারণে, দুই রাজ্যের মানুষের কাছে মোদী সরকারের ‘আচ্ছে দিন’-এর বার্তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহ। আর তারই অঙ্গ হিসেবে গত এক বছর ধরেই বাংলা ও তামিল ভাষা শিখছেন তিনি। আর শুধু শেখার শেখা নয়। সূত্রের খবর, একেবারে পেশাদার ভাষা শিক্ষক নিয়োগ করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই এক বছরে বেশ অনেকটাই বাংলা ও তামিল ভাষা শিখে ফেলেছেন অমিত শাহ। এমনকী, এই দুই ভাষায় কথোপকথনও চালিয়ে যেতে পারেন। এখন এই দুই ভাষায় দখল বাড়াতে পেশাদার শিক্ষকের সাহায্য নিচ্ছেন অমিত। পাশাপাশি, অসমিয়া ও মণিপুরী ভাষা নিয়েও চর্চা করছেন তিনি।
তবে, একাধিক ভাষার ওপর দখল করেই থেমে থাকতে চান না বিজেপি সভাপতি। ভাষার পাশাপাশি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ছাত্রও হয়েছেন অমিত শাহ। নেতার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও অন্যান্য রাজ্যে বিজেপির শক্তি বাড়াতেই অমিতভাই এই ভাষাগুলি শিখছেন।
ওই সহযোগী বলেন, জেলে থাকার সময় এবং গুজরাতে প্রবেশ করায় ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন হিন্দি শিখতে শুরু করেন অমিত। পরে, বিজেপি সভাপতি হওয়ার আগে তিনি দেশের প্রধান প্রধান ধর্মীয়স্থান দর্শন করেন। অমিতভাই সবসময় রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চান। ওই সহযোগীর দাবি, চাপ কমাতে যোগব্যায়াম ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ওপরই ভরসা অমিত শাহের। ভারতীয় ধ্রুপদী ও হাল্কা সঙ্গীতের মাধ্যমের যাত্রার ধকল কাটান তিনি। ছবি দেখতেও বিশেষ ভালবাসেন বিজেপি সভাপতি, বলেও মনে করিয়ে দেন ওই সহযোগী।