আমদাবাদ:  রাজ্যসভার ভোটে জিতেও, মুখ পুড়ল বিজেপির। মধ্যরাতের টানটান থ্রিলারে মোদী-অমিত শাহের বিজয়রথ কে থামিয়ে জয় সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলের। কার্যত সাত ঘণ্টা লড়াইয়ের পর গুজরাত রাজ্যসভা নির্বাচনে বাজিমাৎ কংগ্রেসের। ৪৪ ভোট পেয়ে জয়ী আহমেদ পটেল।

নির্বাচনের পরই তাঁদের দুই বিধায়ক ভোট দেওয়ার পর অমিত শাহকে দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই নিয়ে ভিডিও ফুটেজ থাকায় ভোট বাতিলের দাবি তোলেন তাঁরা। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি। এর পরই দু’দলেরই সাংসদ-নেতা-মন্ত্রীরা দফায় দফায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সওয়াল করেন। ফলে রাত দেড়টা পর্যন্ত শুরু করা যায়নি গণনা। অবশেষে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিভিন্ন ধারা ও অতীতে সুপ্রিম কোর্টের রায় তুলে বিক্ষুব্ধ ২ কংগ্রেস বিধায়কদের ভোট অবৈধ বলে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। জয়ের পর পটেল বলেন, এটা শুধু আমার জয় নয়। এই জয় অর্থ এবং পেশি শক্তি বিরুদ্ধে সত্যের জয়, গণতন্ত্রের জয়।

জয়ের পর এবিপি আনন্দকে দেওয়া প্রথম প্রতিক্রিয়ায়ে আহমেদ পটেল বলেন, পাঁচটা লোকসভা, চারটে বিধানসভার ভোট জিতেছেন তিনি। এত কঠিন লড়াই আগে কখনও লড়েননি তিনি।





অন্যদিকে মানরক্ষার লড়াইতে পরাজয়ের পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেন, এই জয় কংগ্রেসের তিক্ত জয়। কংগ্রেসে ভাঙন স্পষ্ট। আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জয়ের পর গুজরাত জুড়ে কংগ্রেসকর্মীদের মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস দেখা যায়। প্রত্যাশিতভাবেই গুজরাতের অপর ২ টি আসন থেকে জয়ী বিজেপির অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি। দুজনেরই প্রাপ্ত ভোট ৪৬।