নয়াদিল্লি: আয়কর মামলায় ধাক্কা খেলেন বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।তাঁর বিরুদ্ধে ২০০১-র আয়কর সংক্রান্ত মামলা ফের শুরু করতে আয়কর বিভাগকে অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এই মামলায় টেলিভিশন শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ থেকে অমিতাভের আয় সংক্রান্ত তথ্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করতে পারবে আয়কর বিভাগ। ২০০১-২০০২-এর জন্য অমিতাভের কাছে ১.৬৬ কোটি টাকা প্রাপ্য বলে দাবি আয়কর বিভাগের।
আয়কর কমিশনার বিগ বি-র ২০০১-০২ অর্থবর্ষের আয়কর পুনর্মূল্যায়ণের জন্য বম্বে হাইকোর্টে আর্জি জানান। কিন্তু অমিতাভকে স্বস্তি দিয়ে হাইকোর্ট ওই আর্জি খারিজ করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আয়কর বিভাগ।
২০০২-এ ১৩ অক্টোবর জমা করা  ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে অমিতাভ জানান, ২০০১-০২-এ তাঁর আয় ছিল ১৪.৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু ২০০২-এ দাখিল করা সংশোধিত রিটার্নে অমিতাভ ওই সময়পর্বে তাঁর আয় দেখান ৮.১১ কোটি টাকা। যদিও আয়কর বিভাগের পর্যালোচনা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই অভিনেতা তাঁর সংশোধিত রিটার্ন প্রত্যাহার করে নেন।


আয়কর বিভাগের দাবি, ২০০৩-'০৪ আর্থিক বছরে অমিতাভ আয় সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পেশ করেননি। এজন্য বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। এর ফলে অমিতাভের ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা আয়কর বেঁচে যায় বলে আয়কর বিভাগের দাবি। এর প্রেক্ষিতেই বিগ বি-র আয় সংক্রান্ত তথ্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০৫-এ পর্যালোচনা সম্পূর্ণ হয়। পর্যালোচনাকারী অফিসারের হিসেব অনুযায়ী, অমিতাভের আয় ছিল ৫৬.১৪ কোটি টাকা। ২০০৬-এ পুণর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়ে অভিনেতাকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, অমিতাভের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খাতাগুলি পরীক্ষা করা হয়নি। তাছাড়া সাতটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি ছয়টির তথ্য জমা দিয়েছেন।
২০০৮-এ বম্বে হাইকোর্ট ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ থেকে তাঁর মোট আয় ৫০.৯২ কোটি টাকার ওপর ৩০ শতাংশ করছাড়ের অনুমতি দিয়েছিল। শিল্পী হিসেবে এই ছাড় পাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন অমিতাভ। সেই আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় আয়কর বিভাগ। তাদের যু্ক্তি ছিল দেশের বাইরে পারফর্ম করে আয় করা অর্থ বা বিদেশী সংস্থার কাছে প্রাপ্ত অর্থের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য। আয়কর বিভাগ আরও বলে, অমিতাভ একটি সংস্থার হয়ে সঞ্চালকের কাজ করেছিলেন। এই শো-তে তাঁর ভূমিকার জন্য কখনও ওই শো-এর শিল্পী হিসেবে গন্য করা যায় না।