ইটানগর: গত ৩ জুন অসমের জোরহাট থেকে উড়েছিল এএন-৩২। পাইলট সহ মোট ১৩ জন ওই বিমানে করে রওনা হয়েছিলেন অরুণাচলপ্রদেশের মেনচুকার উদ্দেশে। উড়ানের ৩০ মিনিট পর থেকেই এএন-৩২-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তারপর আর কোনওভাবেই ওই বিমানের সঙ্গে  যোগাযোগ করা যায়নি। সপ্তাহখানেকের চিরুনি তল্লাশির পর বায়ুসেনা রাশিয়ার তৈরি এএন-৩২ বিমানের খোঁজ পায়। ১২ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে অরুণাচলের সিয়াং ও শি-যোমি জেলার সীমান্তে ওই বিমানের ভগ্নাশেষ দেখতে পান সেনাকর্মীরা।


সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ৬ জনের দেহ। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের ঠিক এক সপ্তাহ পরে ভারতীয় বায়ুসেনা নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানের যাত্রীদের দেহ উদ্ধার করে। পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৬টি দেহই অসম উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা। ওই বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার জিএম চার্লস, স্কোয়াড্রন লিডার এইচ বিনোদ, ফ্লাইট লিউটেনেন্ট এমকে গর্গ, এস মোহন্তি, এ তানওয়ার, আর থাপা, অফিসার কেকে মিশ্র, সার্জেন্ট অনুপ কুমার, করপোরাল শেরিন, লিডিং এয়ারক্রাফ্টম্যান এসকে সিংহ ও  এয়ারক্রাফ্টম্যান পঙ্কজ। ফ্লাইট লিউটেনেন্ট এমকে গর্গের পরিবার জানিয়েছে শুক্রবার সকাল ৯টায় পাতিয়ালায় দেহ নিয়ে আসা হবে।