গুয়াহাটি: তাঁকে ধর্ষণ করতে এসেছিল এক দাগি অপরাধী। কিন্তু রুখে দাঁড়ালেন সেই আদিবাসী মহিলা। লিঙ্গচ্ছেদ করে হত্যা করলেন, তারপর বন্ধুদের সঙ্গে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে সেই যুবকের দেহ মাটিতে পুঁতে দিলেন। ঘটনাটি অসমের বিশ্বনাথ চরিয়ালি জেলার। খুনের দায়ে ওই রীতা ওঁরাও নামে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


 

রীতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে ঢুকে কৃষ্ণ ভূমিজ নামে ওই যুবক তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তিনি প্রথমে কুঠার দিয়ে কৃষ্ণকে আঘাত করেন। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। এরপর সাত মহিলাকে ডেকে তাঁদের সাহায্যে কৃষ্ণর দেহ কবর দেন।

 

জেলা পুলিশ সুপার অঞ্জুর জৈন জানিয়েছেন, ঘটনাটি চলতি মাসের ৪ তারিখের। তবে সামনে আসে ১৫ দিন পরে যখন কৃষ্ণর পরিবারের লোকেরা তার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ কৃষ্ণর খুনের কথা জানতে পারে। তার দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রীতা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সাত মহিলার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।