কেন তিনি ঘোষিত কর্মসূচি তুলে নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, কেন্দ্রের তরফে একজন মন্ত্রীকে পাঠিয়ে তাঁকে অনশন থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্নার দাবি, কেন্দ্র তাঁর বেশ কিছু দাবি মেনেছে। তবে সেগুলি কী, তা জানা যায়নি। তবে অন্না বলেন, আমি অনেকদিন ধরেই নানা ইস্যুতে আন্দোলন করছি। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করা অপরাধ নয়। তিন বছর ধরে কৃষকদের ইস্যু তুলছি। ফসলের ন্যয্য দাম না পেয়ে তাঁরা আত্মহত্য়া করছেন। সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমি চিঠি পেয়েছি। কেন্র্হ এই ১৫টি ইস্যুতে (কৃষকদের জন্য তাঁর দাবিদাওয়া) কাজ করতে সম্মত হয়েছে, আমি আগামীকালের অনশন বাতিল করছি।
অন্না বিবৃতিতে বলেছিলেন, গত কয়েক বছর ধরে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছি। মনে হয়, কৃষকদের ক্ষেত্রে সরকার ঠিক পথে হাঁটছে না। আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করেছি। গত তিন মাসে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে ৫ বার চিঠি পাঠিয়েছি। সরকারের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে আলোচনা করছেন বটে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে সঠিক সমাধানসূত্রে পৌঁছননি।
অন্না করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর সমর্থকদের আবেদন করেছিলেন, তাঁরা যেন অনশনস্থলে না আসেন, যে যেখানে আছেন, সেখানেই প্রতিবাদে নামেন।
কেন্দ্রীয় সরকার যে তিনটি কৃষি আইন কার্যকর করেছে, তার প্রতিবাদে দুমাস ধরে দিল্লির সীমান্তে সীমান্তে অবস্থান. বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার কৃষক, যাঁরা মূলত এসেছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে।
যে আইনগুলি বাতিলের দাবি করছেন কৃষকরা, সেগুলি হল, ফার্মার্স ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) অ্যাক্ট, ২০২০, দি ফার্মার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রটেকশন ) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০২০ ও দি এসেনশিয়াল কমোডিটিজ (অ্যামেন্ডমেন্ট )অ্যাক্ট, ২০২০।
চলতি মাসেই প্রবীণ গাঁধীবাদী নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে জানান, জানুয়ারির শেষে তিনি কৃষক সমস্যা নিয়ে জীবনের ‘শেষ অনশন’ কর্মসূচিতে বসবেন।