লখনউয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের রাস্তার ধারে ছবি সহ হোর্ডিং অবিলম্বে সরাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই আদেশ পালন সংক্রান্ত রিপোর্ট সহ হলফনামা আগামী ১৬ মার্চ জমা দিতেও বলা হয়েছে।
রবিবারই এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট সিএএ-র প্রতিবাদের সময় সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে যাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে, তাঁদের ছবি ও তথ্য রাস্তার ধারে ব্যানারে তুলে ধরার ঘটনাকে ‘চূড়ান্ত অন্যায্য’ আখ্যা দিয়েছিল। আদালত আশা প্রকাশ করেছিল যে, এগুলি সরিয়ে নেওয়া হবে। যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছিল যে, এটি ‘প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা’ এবং এ ধরনের ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
গত ৭ মার্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। কোনও আইনে এ ধরনের পোস্টার বা হোর্ডি রাস্তার ধারে দেওয়া হয়েছে, তা জানাতে জেলা শাসক ও লখনউয়ের বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দেয়। গতকাল রবিবার এই মামলায় রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।
গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ-র প্রতিবাদে হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে রাজ্য পুলিশ লখনউয়ের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু হোর্ডিং দিয়েছিল। হোর্ডিংগুলিতে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা ও ছবি দিয়ে তাঁদের সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে বলে। এর অন্যথা হলে জেলা প্রশাসন তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে বলেও জানানো হয়।
রবিবারের শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি রমেশ সিনহার বেঞ্চ বলেছিল, এই হোর্ডিংগুলি ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল। পরে শুনানি বিকেল ৩ টে পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। কারণ, অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান যে, এই মামলায় অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করবেন। আদালত আশা প্রকাশ করেছিল যে, শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তিনটের আগেই হোর্ডিংগুলি সরিয়ে নেওয়া হবে।
শুনানি শুরু হলে অ্যাডভোকেট জেনারেল যুক্তি দেন যে, জনস্বার্থ মামলা হিসেবে আদালতের এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কারণ, ওই হোর্ডিংয়ে যাঁদের নাম ও ছবি রয়েছে, তাঁরা সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার কাজে জড়িত। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের হিংসার পুণরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এটি। এরপর এই মামলায় আদালত রায়দান ৯ মার্চ দুটো পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিল।