ইলাহাবাদ: স্বঘোষিত গডম্যানদের সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রেক্ষিতে ‘ভুয়ো বাবা’-দের একটি তালিকা প্রকাশ করল হিন্দু সাধুদের শীর্ষ সংগঠন। তালিকায় নাম রয়েছে রাম রহিম, আসারাম বাপু, রাধে মা সহ ১৪ জনের।
এদিন তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি স্বামী নরেন্দ্র গিরি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই ভণ্ডদের থেকে সতর্ক থাকতে, যাদের কোনও ঐতিহ্য নেই এবং যারা নিজেদের কাণ্ডকারখানা দিয়ে সাধু ও সন্ন্যাসীদের জন্য অসম্মান বয়ে আনছে।
পরিষদের প্রকাশিত ‘ভুয়ো বাবা’ তালিকায় নাম রয়েছে—
- আসারাম বাপু।
- নারায়ণ সাই (আসারাম বাপুর ছেলে)।
- রামপাল।
- সুখবিন্দর কৌর ওরফে রাধে মা।
- সচদারঙ্গী।
- গুরমীত রাম রহিম সিংহ।
- ওম বাবা ওরফে বিবেকানন্দ।
- নির্মল বাবা।
- ইচ্ছাধারী বিশ্বনন্দ।
- স্বামী অসীমানন্দ।
- ওম নমহ শিবায়।
পরিষদের এই তালিকা প্রকাশকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে। কারণ, গুরমীত রাম রহিম কাণ্ডের পর এই স্বঘোষিত বাবাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ক্ষোভের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাতে, সাধারণ মানুষের বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করছে পরিষদ।
সম্প্রতি, দুই সাধ্বী ধর্ষণ মামলায় ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমীত রাম রহিম সিংহ ইনসানকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের জেলহাজতের নির্দেশ দেয় সিবিআই আদালত। হরিয়ানার সিরসা ও পাঁচকুলা এবং পঞ্জাব ও রাজস্থানে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে ডেরা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হরিয়ানায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, যৌন নির্যাতন মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছে আসারাম বাপু। একই অভিযোগে জামিনে রয়েছে তার ছেলে নারায়ণ সাই। হিংসা-সম্পর্কিত একাধিক মামলায় জেলবন্দি রামপাল।
প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মের রক্ষার্থে বিবাহিত সাধুদের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন অষ্টম শতাব্দীর ধর্মগুরু আদি শঙ্কর। পরিষদ হল সেই আখড়ার কাউন্সিল যারা এই আদি শঙ্করের আধ্যাত্মিক দর্শন থেকে মঠ-সংক্রান্ত নিয়মাবলি বানিয়ে আসছে।
গিরি জানান, তিনি এই তালিকা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে বিরোধী দলগুলির কাছেও এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই স্বঘোষিত গডম্যানদের রুখতে কঠোর আইন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।