নয়াদিল্লি:  কুলার নিয়ে বচসার জেরে, দিল্লির নজফগড় এলাকায় এক ধাবার মালিক ও তাঁর ছেলেকে গুলি করে খুন করল চার ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে।


প্রসঙ্গত, সেই রাতে ধাবার কাস্টমরদের খাবার দিচ্ছিলেন মৈয়ঙ্ক। সেই সময় একদল কাস্টমার ধাবার কুলারটি তাঁদের দিকে ঘুরিয়ে নেন। তখন পাল্টা অপর এক দল কুলারটি তাঁদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিস্থিতির মধ্যস্থতা করতে মৈয়ঙ্ক ধাবার ওয়েটারকে বলেন, কুলারটি এমন জায়গায় রাখতে যাতে সেখানে উপস্থিত সমস্ত কাস্টমররাই উপকৃত হন। এরপরই এক দল ক্রেতা মৈয়ঙ্কের ওপর রেগে যায় এবং মারামারি শুরু করে। তাঁদেরকে থামাতে ধাবার অন্য কর্মীরা সেখানে উপস্থিতন হন। কিন্তু আচমকাই ওই দলের মধ্যে থেকে একজন মৈয়ঙ্ককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মৈয়ঙ্কের।  ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে হামলাকারীরা।

এদিকে সেই সময় ছেলেকে বাঁচাতে হামলাকারীদের ধরতে ছুটে যান ছেলের বাবা শ্যাম। তাঁরও কপাল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে হামলকারীরা। তাঁরও সেখানেই মৃত্যু হয়। ধাবারই অপর এক কর্মচারী পুলিশকে খবর দেয়। মৈয়ঙ্ককে কাছের ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে সেখানকার চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে করিম খান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।