নয়াদিল্লি: গতকাল চিফ অব আর্মি স্টাফ পদে দুই সিনিয়র দাবিদারকে টপকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে নিয়োগ করা হয়েছে, এহেন অভিযোগে বিতর্কের মেঘ। সেনাবাহিনীর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে, যার সঙ্গে দেশের ভালমন্দ জড়িয়ে রয়েছে, কেন এমন হবে, সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে কংগ্রেস। ট্যুইটারে সেনাপ্রধান পদে রাওয়াতের নাম ঘোষণায় আপত্তি তুলে কংগ্রেস নেতা মণীশ তেওয়ারি বলেছেন, দেশবাসীকে জবাব দিতে বাধ্য সরকার। তিনি অবশ্য একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই কোনও। তিনি নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাত্র।

তেওয়ারি বলেছেন, জেনারেল রাওয়াতের পেশাদার মানসিকতা, একজন সমরকর্মী হিসাবে তাঁর দক্ষতাকে পূর্ণ সম্মান জানিয়ে, কারও প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ না রেখেই একটা  ন্যায্য প্রশ্ন তুলছি। কেন অন্যদের টপকে একজনকে মাথায় বসানো হবে? ইস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রবীণ বক্সি, সাউদার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আলি ও সেন্ট্রাল আর্মি কমান্ডার-সকলেই এই ভদ্রলোকের চেয়ে সিনিয়র। এই তিন সিনিয়ার সেনা কমান্ডারকে কেন উপেক্ষা করা হল? সরকারের ওঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে কি? ওঁদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কোনও সংশয় আছে? তবে এমন কি কারণ থাকতে পারে যে, চতুর্থজনকে তুলে একেবারে  মাথায় বসানো হল? আমার মনে হয়, সেনাবাহিনী যেহেতু জনগণ, সরকারের প্রতিষ্ঠান, তাই দেশ এর জবাব চাইতে পারে। তেওয়ারি এও বলেন, আটের দশকে কংগ্রেস দলও এমন করেছে বলে তারাও করতে পারে, নিজেদের পদক্ষেপের সমর্থনে সরকার এমন সওয়াল অবাস্তব। প্রতিটি পরিস্থিতির ভিন্ন প্রেক্ষাপট থাকে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রের অবশ্য দাবি, দেশের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার ছায়াযুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, উত্তরপূর্বের চলতি পরিস্থিতির পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামলাতে বর্তমান লেফটেন্যান্ট জেনারেলদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতই যোগ্যতম। তাই তাঁকে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংহের উত্তরসূরী  বেছে নেওয়া হল। অন্যদিকে বায়ুসেনার মাথায় যাঁকে বসানো হল, সেই এয়ার মার্শাল ধানোয়া বাহিনীতে নিযুক্ত হন ১৯৭৮-এর জুনে। তিনি বায়ুসেনার বিভিন্ন স্কোয়াড্রন, বায়ুসেনার সদর  কার্যালয়ের ইনটেলিজেন্স ডিরেক্টরেটে ছিলেন।