নয়াদিল্লি: ভারতের গুলিতে ৭ সেনা কর্মীর মৃত্যুর ‘বদলা’ নিতে হামলা চালাতে পারে পাকিস্তান। সেই আশঙ্কায়, নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন জওয়ানদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল ভারতীয় সেনা। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংহ সুহাগ। কথা বলেন সেনার শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে। উধমপুরস্থিত সেনার নর্দার্ন কম্যান্ডের সদর দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, সেনাপ্রধান সতর্ক করেছেন, যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে পাতিস্তান। সেই কারণে, বাহিনীকে ‘অ্যালার্ট’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সোমবারই পাকিস্তান স্বীকার করে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনার গুলিবর্ষণে ৭ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। পাক সেনার তরফে এক বিবৃতি পেশ করে জানায়, রবিবার রাতে ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে ভিম্বর সেক্টরে মারা গেছেন ৭ পাক সেনাকর্মী। যেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা পর্যন্ত তারা অস্বীকার করেছে, সেখানে নজিরবিহীনভাবে সোমবার নিজেদের তরফে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে পাক প্রশাসন। ইসলামাবাদ দাবি করে, ভারতীয় সেনা বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, যাতে ৭ পাক সেনা জওয়ান মারা যান। এই ঘটনা ‘শান্তির পক্ষে বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করে তারা। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গৌতম বাম্বাওয়ালেকে সমন পাঠিয়ে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাক বিদেশমন্ত্রক। একইসঙ্গে, ভারতকে পাল্টা ‘জবাব’ দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। এই হুঁশিয়ারির ২৪-ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার রাত থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হামলা শুরু করে পাক সেনা। জম্মু, রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় পাকিস্তান একতরফা গুলি চালাতে শুরু করে। এতে আহত হন ১ জওয়ান সহ ২ জন। ৮২ মিলিমিটার মর্টার বম্ব ও স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে রাত আড়াইটের পর থেকে ভারতীয় এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজৌরির সুন্দরবানি ও নওশেরা সেক্টর ও জম্মুর আখনুর এলাকার পাল্লানওয়ালা সেক্টরে গুলিবর্ষণ করছে পাকিস্তান। ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও পাক গুলিবর্ষণের মুখের মত জবাব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
৭ জওয়ান মৃত্যুর ‘বদলা’! নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাকিস্তানের, সেনাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
ABP Ananda, Web Desk | 15 Nov 2016 11:13 AM (IST)