শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংহ। রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখায় তীক্ষ্ম নজরদারি চালানোর নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি একদিনের সফরে এসেছেন এখানে। মোটামুটি উপত্যকার পরিস্থিতি শান্তই ছিল আজ। গতকাল থেকে নতুন করে কোনও হিংসার খবর আসেনি। তবে গত ১৫ জুলাই কুপওয়ারার হাটমুল্লায় গুলিতে জখম হওয়া গুলাম মহম্মদ মীর নামে ৫৬ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই নিয়ে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে অশান্তি, হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩। এদিকে মীরের মৃত্যুর প্রতিবাদে এসএমএইচএস হাসপাতালের বাইরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। পাশাপাশি উপত্যকার নানা জায়গায় কালো পতাকা তোলার খবর এসেছে। তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কথা মাথায় রেখে সেগুলি খুলে দেয় পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনী।   এদিকে টানা বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে উপত্যকায় সংবাদপত্র ফের বেরতে পারে বলে খবর। মিডিয়ার ওপর সরকারি দমনপীড়নের অভিযোগে সংবাদপত্র প্রকাশ ৬ দিন বন্ধ রেখেছিল মিডিয়া সংস্থাগুলি। তবে আজ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করেন প্রকাশনা বন্ধ রাখা সংবাদপত্রগুলির সম্পাদকরা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে তাঁদের মিডিয়ার স্বাধীনতা অটুট থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মেহবুবা। তারপরই বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া হিংসার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার সম্ভাবনা দূর অস্ত। কেননা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হরতালের মেয়াদ ২৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বুরহানের মৃত্যুর পরপর তারা ৩ দিনের হরতালের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু হিংসা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারাও দফায় দফায় হরতালের মেয়াদ বাড়িয়েছে।