জম্মু: গতকালের জঙ্গি হানার পর আজ জম্মুর নাগরোটায় ১৬ কর্পসের হেডকোয়ার্টারে গেলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল দলবীর সিংহ সুহাগ। গতকালের জঙ্গি হামলায় সেনার সাত অফিসার ও জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। ঘটনায় তিন জঙ্গিকেও নিকেশ করা হয়েছিল। আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা জানতে চিরুনি তল্লাশি চলছে। এই তল্লাশির কাজ খুব শীঘ্রই সমাপ্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।

সেনাপ্রধান আজ বিকেলে নাগরোটায় পৌঁছন। তাঁকে গতকালের সেনার আর্টিলারি ইউনিটে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে অবহিত করেন শীর্ষ কম্যান্ডাররা। সেনাপ্রধান নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সেনার এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন, এদিন ভোরে সেনা শিবিরে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই অভিযান চলছে।

এই অভিযানে না ফাটা কয়েকটি শেলও ধ্বংস করেছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।

উল্লেখ্য, গতকাল জোড়া জঙ্গি হামলা হয় কাশ্মীরে। দুটি ঘটনায় দুই মেজর পদমর্যাদার অফিসার সহ সাত সেনা কর্মীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিএসএফের এই ডিআইজি সহ আট নিরাপত্তা কর্মী জখম হন। দুটি ঘটনায় ছয় সশস্ত্র জঙ্গি খতম হয়।

একটি ঘটনায় উরি হামলা স্মৃতি উসকে দিয়ে সেনার উর্দি পরে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল জঙ্গি নাগরোটায় সেনা শিবিরে হামলা চালায়। দুই অফিসার সহ সেনার সাত জওয়ান এই ঘটনায় নিহত হন। শেষপর্যন্ত তিন জঙ্গিকে মেরে ফেলা হয়। তার আগে ১২ জওয়ান, দুই মহিলা ও দুই শিশুকে পণবন্দী করে রেখেছিল হামলাকারীরা। পরে পণবন্দীদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, সাম্বার রামগড় এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জঙ্গিদের সঙ্গে বেশ কয়েক ঘন্টা গুলি বিনিময় চলে বিএসএফের। সেই সঙ্গে সীমান্তের ওপার থেকে পাক বাহিনীও লাগাতর গুলি চালাতে থাকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিএসএফ তিন জঙ্গিকে খতম করে। এই ঘটনায় বিএসএফের এক ডিআইজি সহ চার নিরাপত্তা কর্মী জখম হন।