সিরসা: হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সাচা সৌদার সদর দফতর ঘিরে ফেলেছে সেনা। রয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। অন্তত ১০,০০০ ডেরা সমর্থক ভেতরে রয়েছেন বলে খবর।


ডেরা সমর্থকদের গুরু গুরমিত রাম রহিম সিংহ ধর্ষণের মামলায় অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার পর গতকাল সিরসা ও পাঁচকুলায় আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। রাম রহিমের সমর্থকদের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ২৬৯। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হলেও এখন তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডেরার সদর দফতর ঘিরে ফেললেও সেনা জানিয়েছে, এখনই তাদের ভেতরে ঢোকার নির্দেশ নেই। সেনা ও জেলা প্রশাসন লাউড স্পিকারে ডেরা সমর্থকদের নির্দেশ দিচ্ছে, সদর দফতর ছেড়ে চলে যেতে।

হরিয়ানার ডেপুটি অ্যাডভোকেট জেনারেল গুরুদাস সিংহ সালওয়ারাকে আজ বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। অভিযোগ, রাম রহিমের ব্যাগ বয়েছেন তিনি। তাঁর অবশ্য দাবি, তিনি রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।



ডেরার সিরসা ক্যাম্পাসের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুটি একে ৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। হরিয়ানার বিভিন্ন শহরে ডেরার একের পর এক কেন্দ্র, নাম চর্চা ঘর তল্লাশি চালিয়ে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জন ডেরা সমর্থককে।

পাঁচকুলা, সিরসা ও কৈঠাল সহ হরিয়ানার বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দিল্লির ১১টি জেলায়, উত্তরপ্রদেশের ৯টি জেলায় ও রাজস্থানের ১টি জেলায় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সব কটি এলাকা হরিয়ানা সীমানায় পড়ে।

পঞ্জাবের কিছু শহরে আজ ৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয় যাতে স্থানীয় মানুষ খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, রাম রহিম ইস্যুতে তাঁর রাজ্যে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে ডেরাকে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।