শ্রীনগর: অশান্ত কাশ্মীরে গোলমাল পাকাতে ফের সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। তবে তা সফল হয়নি। প্রতিরোধ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর এক অফিসার জানিয়েছেন, কাশ্মীরের কুপওয়ারার নওগাঁম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গতকাল মধ্যরাতে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পড়ে জওয়ানদের। জওয়ানরা সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানরাও। গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণের গুলিযুদ্ধে খতম হয় দুই অনুপ্রবেশকারী। তবে দুজন জওয়ানও শহিদ হন। জখম হন একজন। সংঘর্ষস্থল থেকে দুটি একে রাইফেল সমেত প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছে।

 

এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার সীমান্তে নওগাঁম সেক্টরে ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকিস্তান থেকে বড় ধরনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করে দিল সেনাবাহিনী। ২৬ জুনের অনুপ্রবেশের প্রয়াস রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল চার জঙ্গিকে খতম করে, একজনকে জীবিত পাকড়াও করে। সে পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জেরায় স্বীকার করেছে।

 

 

এদিকে শ্রীনগরের কিছু এলাকা, অনন্তনাগ  ও প্যাম্পোর বাদে কাশ্মীরের সর্বত্র তুলে নেওয়া হয়েছে কার্ফু। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা হরতালের জেরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা  স্তব্ধই রয়েছে। জনৈক পুলিশ অফিসার জানান, শ্রীনগরের মাত্র ৫টি স্থান, অনন্তনাগ  ও প্যাম্পোরেই কার্ফু বহাল রয়েছে। তবে চারজন বা তার বেশি লোকের একত্রে জড়ো হওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গোটা কাশ্মীরেই। প্রসঙ্গত, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জামা মসজিদে মিছিল করে যাওয়ার আহ্বান বানচাল করতেই গতকাল কাশ্মীর জুড়ে কার্ফু ও বিধিনিষেধ  জারি করে প্রশাসন।