শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি:  উরি হামলায় শহিদ জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮। হামলায় তদন্তের নির্দেশ দিল সেনাবাহিনী।


জঙ্গি হামলার ৩৬-ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরও আতঙ্কের রেশ রয়ে গিয়েছে। শনিবারের হামলাকে সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, শীঘ্রই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির এধরনের হামলা রোখা সম্ভব হয়।

সেনাবাহিনীর মতে, এখন জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি মূলত ‘শ্যালো ইনফিলট্রেশন’-এর ওপর জোর দিয়েছে। অর্থাৎ, নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে প্রথম যে সেনা ছাউনি পড়বে, তাতেই হামলা চালানো।

বাহিনীর গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সম্ভবত একদিন আগেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গিরা। গোয়েন্দাদের মতে, সাধারণত, ফিদাঁয়ে (আত্মঘাতী) জঙ্গিরা ক্লিন শেভড হয়। অর্থাৎ, তাদের দাড়ি-গোঁফ থাকে না।

নিহত জঙ্গিদের দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, তাদের মুখ যে দাড়ি ছিল, তা একদিনের বেশি পুরনো নয়। তা থেকেই গোয়েন্দাদের অনুমান, জঙ্গিরা এদেশে ঢুকে সঙ্গে সঙ্গেই হামলা চালিয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে তদন্তদল। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তাকে আরও জোরদার কী ভাবে করা যায়, তারও সুপারিশ করবে এই তদন্ত কমিটি।

এদিকে, গতকালের জঙ্গি হামলায় ১৭ জন জওয়ান শহিদ হন। আহত হন আরও ২০ জওয়ান। এঁদের মধ্যে আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয় এদিন। ফলে, নিহত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮।

সেনা সূত্রে খবর, এদিন দিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফেরাল হাসপাতালে মারা যান সেপাই কে বিকাশ জনার্দন। গতকাল জনার্দন সহ তিনজন জওয়ানকে গুরুতর আহত জওয়ানকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানী নিয়ে আসা হয়। বাকি দুজনের অবস্থাও সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।

শনিবার রাত ৩টে নাগাদ উত্তর কাশ্মীরের উরি শহরেস্থিত সেনার ১০ ডোগরা রেজিমেন্টের সদর দফতরে আচমকা হামলা চালায় ৪ জয়েশ জঙ্গি। এতে এখনও পর্যন্ত ১৮ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। বাহিনীর পাল্টা গুলিতে খতম হয় চার জঙ্গিও।