নয়াদিল্লি:  ২০১৫ সালে প্রথমে মায়নামার, তারপর ২০১৬ সালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সফল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এবার ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর জন্যে তত্পর প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

সূত্রের খবর, এবার থেকে আচমকা আক্রমণ আনার জন্যে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আরও ভয়ঙ্কর, শক্তিশালী এবং সচল করতে উদ্যোগী প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই জন্যে বিভিন্ন বিদেশি অস্ত্রসংস্থাকে টেন্ডার জমা দেওয়ার জন্যে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আপাতত সেই সমস্ত সংস্থা থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, মেশিন গান, হাল্কা ওজনের রকেট লঞ্চার, শট-গান, পিস্তল, রাতের অন্ধকারে দেখা যাবে এমন সরঞ্জাম এবং গোলাগুলি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সেনাবাহিনীর।

এই বিশেষ অস্ত্র কেনার জন্যে গতসপ্তাহে মার্কিন, ইজরায়েল, সুইডেন এবং অন্য আরও কয়েকটি দেশের বেশ কিছু সংস্থাকে টেন্ডার জমা দিতে বলা হয়েছে। অস্ত্র ছাড়াও, হাল্কা ওজনের ১২০টি স্ট্রাইক ভেহিকেল, যেটা বিশেষ বাহিনীর জন্যে হেলিকপ্টার বয়ে নিয়ে যেতে পারবে, তেমনও কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। তারজন্যে শুরু হয়েছে ট্রায়াল রানও।

সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্র কিনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌ-সেনা এবং বায়ুসেনার জন্যে।

সদ্য গঠিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই স্পেশাল এলিট ফোর্স পুরো সেনাবাহীনির মধ্যে এই বাহিনীতে রয়েছে মাত্র ৯টি প্যারা-স্পেশাল এবং পাঁচটি প্যারা এয়ারবর্ন ব্যাটেলিয়ন। এখানে পুরো বাহিনী থেকে মাত্র ৬২০ জন সেনাকে নির্বাচন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই বিশেষ বাহিনীর জন্যে তাই অল্প সংখ্যায় অস্ত্রই প্রয়োজন। মাত্র ৫০০টি নাইন এমএম পিস্তল লাগবে, অ্যাসল্ট রাইফেল লাগবে ১,১০০-র মতো। তবে এই নয়া অস্ত্র যদি কাজের হয়, তাহলে পরে আরও বেশি সংখ্যায় এই অস্ত্র আনা যাবে।

এখন বিশেষ এই বাহিনীর কাছে রয়েছে ৫.৫৬ এমএম ট্যার-২১ ট্যাভর অ্যাসল্ট রাইফেল, ৭.৬২ এমএম গলিল স্নাইপার রাইফেল, আমেরিকার এমফোরএওয়ান কারবাইনস, এবং সুইডিশ কার্ল গুস্তাভ রকেট লঞ্চার। তবে উন্নতমানের এই অস্ত্রের প্রয়োজন প্রথম পড়েছিল মায়নামারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর সময়।তখনই ভারতীয় সেনা বাহিনীর এই বিশেষ ফোর্স বুঝেছিল, ভবিষ্যতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে আরও হাল্কা ওজনের অস্ত্র দরকার তাঁদের।