নয়াদিল্লি: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি পরিকাঠামো তছনছ করে দিতে ৬ মাসই যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ কথা জানিয়েছে সেনা। সেনা অফিসাররা জানিয়েছেন, জঙ্গি শিবিরে মাঝে মধ্যে হামলা চালালে জঙ্গিদের তেমন কিছু ক্ষতি করা যাবে না। এ জন্য মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা চাই।


সেনা সরকারপক্ষকে আরও বলেছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর কাশ্মীরে বারবার জঙ্গি হামলার জন্য কেন্দ্রকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই সোমবার বারামুলায় জঙ্গি হামলা চলেছে- এ ধরনের হামলা আরও হতে পারে।

সেনা স্ট্র্যাটেজিস্টরা আরও জানিয়েছেন, জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড পুরোপুরি শেষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পরিকল্পনা চাই। একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নয়, এ জন্য ৬ মাসের পরিকল্পনা নিতে হবে। সেনা জেনারেলরা মনে করছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তান এ দেশে আরও জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তৈরি হতে পারে আরও লঞ্চ প্যাড। সেগুলি পুরোপুরি ধ্বংস করা জরুরি বলে সেনাকর্তারা মনে করছেন। তাঁদের ধারণা, জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। সেনাকর্মীরা সকলে চাঙ্গা, নিয়ন্ত্রণরেখাতেও পাকিস্তানিদের তুলনায় ভারতীয়দের অবস্থান যথেষ্ট ভাল। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে জঙ্গিসন্ত্রাস থামাতে এখনই আদর্শ সময় বলে তাঁরা মনে করছেন।

সেনার ধারণা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৪০টারও বেশি জঙ্গিপ্রশিক্ষণ ঘাঁটি আছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নয়, বরং অনেকটা দূরে অবস্থিত। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এখনও ৫০টার মত লঞ্চ প্যাড রয়েছে, এগুলোয় ঘাঁটি গেড়েছে ২০০-র বেশি জঙ্গি। পাক সেনা এই লঞ্চ প্যাডগুলো পাহারা দিচ্ছে বলে সেনা কর্তারা জানিয়েছেন।