ইটানগর: অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ সন্দেহভাজন নাগা জঙ্গিদের গুলিতে জেলায় প্রাণ হারালেন এনপিপি বিধায়ক তথা বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী। তিরং আবোহ নামে নিহত বিধায়ক ছিলেন খোনসা পশ্চিম কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধি। সেখান থেকে পুনর্নির্বাচনের জন্য এবার প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তিরং ছাড়াও তাঁর ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী সহ ১০ জন সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্টে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এস বি কে সিংহ জানান, ১১ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি জানান, তিরং অসম থেকে নিজের কেন্দ্রে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা, তিন পুলিশকর্মী, এক পোলিং এজেন্ট। জেলার ১২ মাইল এলাকার কাছে তাঁদের গাড়ির ওপর গুলিবৃষ্টি করে সন্দেহভাজন এনএসসিএন সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিধায়ক ও বাকি ১০ জন। মারাত্মক জখম এক নিরাপত্তা অফিসারকে ডিব্রুগড়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যায় শোক প্রকাশ করে তাঁদের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করেছেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে এনপিপি সভাপতি তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেস ঘটনার নিন্দা করে এক বিবৃতিতে উচ্চপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে। বলেছে, রাজ্যে বর্তমানে যে নৈরাজ্য, আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা চলছে, সেজন্য একমাত্র দায়ী মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু ও বিজেপি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই যদি কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান শাসকদের আমলে নিরাপদ না থাকেন, তবে কী করে সাধারণ মানুষ নিজেদের সুরক্ষিত ভাববেন।
তিরং ২০১৪-য় পিপলস পার্টি অব অরুণাচল (পিপিএ)-এর টিকিটে খোনসা ওয়েস্ট কেন্দ্রে নির্বাচিত হন।



কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিধায়ক ও বাকিদের হত্যায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, এটা উত্তর পূর্বের শান্তি বিঘ্ন করার জঘন্য প্রয়াস। রিজিজু দোষীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।