মুম্বই: মুম্বইয়া ভাষায় ঠোক দুঙ্গা বা মার দুঙ্গা নতুন কিছু নয়। তা বলে প্লেন চড়হা দুঙ্গা? হজম করতে একটু কষ্ট হতে পারে কিন্তু এই ভাষাতেই এক গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি দিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার জনৈক পাইলট।

ঘটনাটি ঘটেছে, গত বছরের শেষে। মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু উড়ান ছাড়ার আগে সব পরীক্ষানিরীক্ষা সারতে গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারদের দেরি হচ্ছিল। অপেক্ষা করতে করতে অধৈর্য্য হয়ে পড়া ক্যাপ্টেন সোজা ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি দেন, যা যা কাজ বাকি, এক্ষুনি সেরে ফেলুন। নইলে ঘাড়ে প্লেন তুলে দেব!

এই ঘটনার কিছুদিন আগে এই মুম্বইতেই বিমান আচমকা ছেড়ে দেওয়ায় হাওয়ার টানে ইঞ্জিনে ঢুকে গিয়ে এক গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের ভয়াবহ মৃত্যু হয়। সে কথা এখনও ভুলতে পারেননি তাঁর সহকর্মীরা। এরই মধ্যে এমন হুমকি তাঁরা ভালভাবে নেননি। বিমান উড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট সেফটি ডিপার্টমেন্ট বা এফএসডি-তেও জানানো হয় সব কিছু। প্লেন বেঙ্গালুরুতে নামার সঙ্গে সঙ্গে এফএসডি নির্দেশ দেয়, ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারের কথাবার্তা ডাউনলোড করতে হবে।

আলোচনা শুনে এক মাসের জন্য ওই পাইলটকে বসিয়ে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া। ওই সময়টা তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে মাথা ঠান্ডা রাখার শিক্ষা পান।

তবে ওই পাইলটের বিরুদ্ধে আগে কোনও অভিযোগ না থাকায় কাউন্সেলিংয়ের পর কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়া ক্রু মেম্বারদের নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতে, কারণ, বিমান সংস্থাটির সময়জ্ঞান সম্পর্কে এতদিনের অত্যন্ত খারাপ রেকর্ডের হাল ফেরানোর জন্য তাঁদের ওপর মারাত্মক চাপ থাকে।