পটনা: বিহারে আস্থাভোট জিতে নিল সদ্যগঠিত জেডিইউ-বিজেপি জোট। তারা পেয়েছে ১৩১ জনের সমর্থন, বিরোধী আরজেডি-কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়েছে ১০৮টি ভোট। ৪ বছর পর ফের নীতীশ বিজেপির হাত ধরলেন।

বিহার বিধানসভার মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৩। সরকার গঠনের জন্য ১২২ জন সদস্যের সমর্থন ম্যাজিক-সংখ্যা ১২২। আরজেডির ৮০ ও কংগ্রেসের ২৭- সব মিলিয়ে বিরোধীদের কাছে ছিল ১০৭ জনের সমর্থন। উল্টোদিকে আস্থাভোট নেওয়া জেডিইউয়ের বিধায়কসংখ্যা ৭১, বিজেপির ৫৩ বিধায়ক ও অন্যান্য আরও ৮ জনের সমর্থন ছিল তাদের দিকে। সব মিলিয়ে সহজেই ভোটে জিতেছে তারা।

বিরোধী দলনেতা হয়েছেন জেডিইউ-আরজেডি মন্ত্রিসভায় উপ মুখ্যমন্ত্রী থাকা লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। তিনি বলেছেন, যেভাবে নয়া সরকার গঠিত হল তা ঠিক নয়। এভাবে সঙ্গী পাল্টানোর জন্য বিহারের মানুষ নীতীশকে মাফ করবেন না। উল্টোদিকে নীতীশের মন্তব্য, লালু পরিবারের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিহারের জনতা তাঁকে নির্বাচিত করেননি।

এর আগে আজ বিধানসভা বসলে জেডিইউয়ের জোটসঙ্গী পাল্টানো নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয়। আরজেডি গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়ার দাবি জানায়। বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তেজস্বী নীতীশকে বলেন, হিম্মত থাকলে আমাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করতে পারতেন।

বিধানসভার বাইরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আরজেডি বিধায়করা।

এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আরজেডি-র পিটিশন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। তবে আস্থা ভোট স্থগিত করার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। মামলার শুনানি হবে সোমবার।