সিমলা: এক গৃহবধূর বুদ্ধিমত্তা ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব প্রাণ বাঁচাল এক জওয়ানের। অন্যান্য সেনাকর্মীরা যখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না, তখন ওই ভদ্রমহিলাই মুমূর্ষু জওয়ানের মুখে মুখ ঠেকিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে তাঁর শরীরে প্রাণসঞ্চার করেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনী তাঁকে সম্মানিত করেছে।


ঘটনাটি ২০ অগাস্টের। হিমাচল প্রদেশের জুটোগ ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণরত অসম রাইফেলসের একদল জওয়ান  কাজ করছিলেন সিমলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে, বানুতি এলাকায়। সে সময় তাঁদের তাড়া করে একপাল রাস্তার কুকুর। আচমকা এই পরিস্থিতিতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পা পিছলে রাস্তার ধারে ৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যান মুকেশ কুমার নামে এক জওয়ান। পাথরে মাথা ঠুকে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সেনাকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করলেও ধরেই নিয়েছিলেন, তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁদের হইচই শুনে এগিয়ে আসেন স্থানীয় গৃহবধূ, ৪২ বছরের বীণা শর্মা। বাকি জওয়ানরা কী করবেন বুঝে উঠতে না পারলেও বীণাদেবীর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়নি। দ্রুত ওই জওয়ানের মুখে মুখ ঠেকিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে থাকেন তিনি। উপস্থিত সেনাকর্মীরা কেউ গাড়ি চালাতে না জানায় ডেকে আনেন নিজের ৭২ বছর বয়সি বাবাকে। তাঁর বাবা রমেশ শর্মা গাড়ি চালিয়ে আহত জওয়ানকে নিয়ে যান জুটোগ সেনা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে সিমলায় ইন্দিরা গাঁধী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত জওয়ান এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বীণা শর্মার অসামান্য প্রত্যুৎপন্নমতিত্বর জন্য অসম রাইফেলস তাঁকে পুরস্কৃত করেছে।