নয়াদিল্লি: বাঁদরের উপদ্রবে জেরবার রাজধানী। দিল্লির গাছে গাছে বাড়ির ছাদে ছাদে বাঁদর। পুরনো সৌধ, প্রাসাদের এখানে কমতি নেই আর  সেই সুযোগে প্রত্যেক খাঁজে খোঁজে জাঁকিয়ে রাজ করছে বাঁদর সাম্রাজ্য। বাঁদরামিতে জেরবার স্থানীয় মানুষকে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ দিতে দিল্লি হাইকোর্ট এবার অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারকে ঠিকমতো কোনও পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিল। দিল্লি সরকার অবশ্য এর আগেও বাঁদর ধরার চেষ্টাচরিত্র করেছে। বাঁদর ধরে নির্বীজকরণের জন্য দুবার টেন্ডারও ডাকে তারা। কিন্তু কোনও সংস্থাই বাঁদর ধরার মত কষ্টসাধ্য ও বিপজ্জনক কাজ করতে আগ্রহী হয়নি, অথচ এ ধরনের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও যন্ত্রপাতি স্থানীয় প্রশাসনের নেই । এ ব্যাপারে হাইকোর্টকে জানালে প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন ও বিচারপতি ভি কে রাওয়ের বেঞ্চ বলেছে, টেন্ডারে কেউ আগ্রহ দেখায়নি বলে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না, তাদের কিছু না কিছু করতে হবে। সরকারই বলুক, এই পরিস্থিতিতে কী করা যায়। তাদেরই জানাতে হবে, কীভাবে বাঁদর ধরে নির্বীজকরণের কথা ভাবছে তারা। ২৯ জানুয়ারি এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি, তার মধ্যে কেজরি সরকারকে নিজেদের পরিকল্পনা আদালতে জানাতে হবে বিশদে। আইনজীবী মীরা ভাটিয়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বাঁদর সঙ্কটের হাত থেকে দিল্লিকে বাঁচানোর জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। এসওএস নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আগেই জানিয়েছে, সহজে খাবারদাবার মেলায় দিল্লির পাড়ায় পাড়ায় বাঁদরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, জঙ্গল ছেড় লোকালয়ে এসে বাসা বাঁধছে তারা।