হায়দরাবাদ: বড় মেয়ের বিয়ে। মহা আড়ম্বরে, ধুমধাম করে হয়ে গেল এনগেজমেন্ট পার্টি। নিন্দুকেরা বলছে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসির মেয়ের এনগেজমেন্টের জাঁকজমকের পিছনে দেদার টাকা খরচ করেছেন। কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ১০ হাজার অতিথি। ১.২৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে দুবাই থেকে আনানো সোনার পাত বসানো প্লেট, পুষ্পসজ্জার পিছনে। ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলের ভাড়া বাবদ। ৪০০-র বেশি পদ ছিল মেনুতে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা।

আর এ নিয়ে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপও হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি চিঠি, ।যাতে ওয়েইসিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনিই কিন্তু নানা ভাষণে বিয়ের পিছনে বিপুল অর্থ খরচের বিরোধিতা করেছেন অতীতে, বরাবর অনাড়ম্বর ভাবে বিয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। চিঠিটি কার লেখা, জানা যায়নি। তবে তাতে বলা হয়েছে, আপনি একবার এক ভাষণে আপনার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কথা বলেছিলেন, যাঁর অনেকগুলি বিবাহযোগ্য় বোন, মেয়ে আছে কিন্তু তাদের বিয়ে দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য় নেই। এরকম হাজার হাজার অসহায় মানুষ আছেন। উনি একা নন। যখন আপনার মেয়ের এনগেজমেন্ট পার্টি বা বিধায়ক বালালার মেয়ের বিয়ের মতো ঘটনা সমাজে জাতে ওঠার মতো ব্যাপার হয়ে যায়, তখন আপনার সেই বন্ধুর মতো মানুষজনের নিজেদের বিকিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিচ্ছু করার থাকে না।

বিয়েতে ঢালাও অর্থ খরচের বিরুদ্ধে বরাবর সরব জনৈক সমাজকর্মী ওয়েইসি মেয়ের এনগেজমেন্টে বিপুল অর্থব্যয় করে খারাপ নজির গড়লেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, দেশে আত্মহত্যা বাড়ছে। কারণ বাপ-মায়েরা মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না অর্থাভাবে। এই ঘটনা সোজাসুজি বুঝিয়ে দিল, বড়লোক বাবা-মায়েরা ইচ্ছামতো খরচ করতে পারেন, আর গরিব মেয়েদের সামনে একমাত্র আত্মহত্যার রাস্তাই খোলা রয়েছে।