গুয়াহাটি: কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টিতেই ভাসছে অসম। বন্যায় প্লাবিত অসমের ২০টি জেলা। বন্যার কারণে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। অন্যদিকে ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩ জনের। লাগাতার ভারী বর্ষণে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র নদ।
অসমের অনেক এলাকাতেই ব্রহ্মপুত্র নদের জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ফলে সর্বত্রই বন্যার আশঙ্কায় গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি। নিখোঁজ বহু গৃহপালিত পশুও। অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধেমাজি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, উদালগুড়ি, দারাং, লনবাড়ি, বরপেটা, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, নগাঁও, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবাসাগর, ডিব্রুগড়, বনগাইগাঁও, দক্ষিণ সালমারা, গোলপারা, কামরূপ, মরিগাঁও, হজাই, পশ্চিম করবি আংলং ও তিনসুকিয়া। সামনে এসেছে ডিব্রুগড়ের একাধিক জায়গার ভয়াবহ ছবি।
সূত্রের খবর, ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসমের ৯.২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বন্যায় জেরে জলের তলায় প্রায় ৬৮,৮০৬ হেক্টর চাষের জমি। আপাতত ১৯৩টি ত্রাণ শিবিরের আয়োজন করা গিয়েছে। তাতে মোট ২৭, ৩০৮ জন মানুষ আশ্রয় পেয়েছেন। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধু মানুষেরই ক্ষতি হয়েছে তা নয়, এ বছর বন্যায় গবাদিপশুরও ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশুদের বাঁচাতে মানুষ তাদের সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন।
বন্যায় বিধ্বস্ত গ্রামগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ফোর্স ও জেলাস্তরের প্রশাসনে দলের সদস্যরা হাতে হাত লাগিয়ে কাজ শুরু করেছেন। অন্যদিকে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত এই রাজ্যের বন্যা কবলিত গ্রামগুলিতে যতটা সম্ভব বিধিনিষেধ মেনে কাজ করা হচ্ছে।
রবিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ। এরপর তিনি নিজেই জানান, 'অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। মোদি সরকার অসমকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।'