নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের অধুনা সাসপেন্ডেড নেতা মণিশঙ্কর আয়ারের বাসভবনে পাকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের যে বৈঠকের অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই বৈঠকে হাজির থাকলেও, গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানালেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান দীপক কপূর। একটি ইংরাজি দৈনিক তাঁকে উদ্ধৃত করে বলেছে, পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির ভারত সফর উপলক্ষে এ মাসের ৬ তারিখ দিল্লিতে মণিশঙ্করের বাসভবনে এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে শুধু ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়। অন্য কোনও বিষয়ে কথা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে পাকিস্তান। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে আলোচনার জন্যই মণিশঙ্করের বাড়িতে বৈঠক করেন কংগ্রেস ও পাকিস্তানের নেতারা।

কংগ্রেস অবশ্য এই বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, গুজরাতে হারের ভয়েই এই ধরনের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। দেশের সর্বোচ্চ পদে থেকে তাঁর এই ধরনের অভিযোগ করা উচিত নয়।’ সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলও প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা দাবি, নির্বাচনে জেতার জন্য মিথ্যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাক্তন সেনাপ্রধানও এই বৈঠক নিয়ে মোদীর অভিযোগ খারিজ করে দিলেন।

সূত্রের খবর, এই বৈঠকে প্রাক্তন সেনাপ্রধান ছাড়াও হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কে নটবর সিংহ। প্রাক্তন কূটনীতিবিদ সলমন হায়দার, টিসিএ রাঘবন, শরৎ সাবরওয়াল, কে শঙ্কর বাজপেয়ী ও চিন্ময় ঘারেখানও এই বৈঠকে ছিলেন। বাজপেয়ী, রাঘবন ও সাবরওয়াল পাকিস্তানে ভারতের হাই কমিশনার ছিলেন।